জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়া শেরপুরে কবর বন্ধ করে লাশ ফেরত দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং ঘোষণা দিয়ে মৃতের ২ নাতির উপর হামলা চালিয়ে নাতি মাসুদুর রহমান মজনু (২৭) মিন্টু মিয়াকে (২৫) গুরুতর আহত করেছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত্রি সাড়ে নয়টায় মহিপুর কলোনি এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি রবিবার মাসুদুর রহমান মজনুর নারীর মৃত্যু হলে তারা কবরস্থানে গিয়ে কবর খুড়তে শুরু করে। পরে মহিপুর কলোনি পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, একই এলাকার মৃত ইনসার আলীর ছেলে ইসমাইল, জয়নাল ওরফে কাহালু কবর দেওয়া বন্ধ করে লাশটি ফেরত দেয়। পরে তারা লাশ নিয়ে বাড়ির পাশের কবর দেয়। এ ঘটনায় এলাকার মধ্যে বিভিন্ন সমালোচনা ও দুই পক্ষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য মঙ্গলবার এলাকাবাসীর দুই পক্ষকে নিয়ে সালিশী বৈঠক বসে। বৈঠকের একপর্যায়ে কুদ্দুস, জয়নাল ক্ষিপ্ত হয়ে দুই নাতির উপর চেয়ার নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করলে বিষয়টি শেরপুর থানাকে অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। বুধবার কুদ্দুস, জয়নাল একত্রিত হয়ে মাসুদুর রহমান মজনু শশুর বাড়ি গিয়ে তাদের মারার হুমকি দিয়ে আসে। আজ রাত্রি সাড়ে নয়টার দিকে মহিপুর কলোনি এলাকায় রাস্তার ওপর তাদের একা পেয়ে হামলা চালায়। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী মজনু , সোহেল রানা , মিলন তাদেরকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করায়।
এ বিষয়ে মাসুদুর রহমান মজনুর শাশুড়ি জহুরা খাতুন জানান, গত রাত্রিতে তারা আমার বাড়িতে এসে জামাইকে খুঁজতে থাকে তখন বিষয়টি জানতে চাইলে তারা বলে তোমার জামাইকে আমরা মেরে ফেলবো।
মাসুদুর রহমান মজনুর শশুর আব্দুর রশিদ জানান, তারা কবর বন্ধ করে লাশ ফেরত দেয়ার ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ এবং সালিশী বৈঠক ডাকার কারণে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা চালায়। এ ব্যাপারে কুদ্দুস ও জয়নালের বাড়িতে গেলে তাদেরকে কাউকে পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনা শুনেছি এখনো পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পায়নি, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।