রিয়ন দে, চাঁদপুর: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম খুনি মেজর (বরখাস্ত) এ এম রাশেদ চৌধুরীর চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের সম্পত্তি ও মালামাল আদালতের রায়ের পর ক্রোক করা হলেও সে ফাইল খুঁজে পাচ্ছেন না উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রাশেদুল ইসলাম।
তিনি ফাইল খুঁজে বের করতে ইতোমধ্যে হাজীগঞ্জ এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান মানিককে দায়িত্ব দিয়েছেন।
বুধবার (১৭ আগস্ট) বিষয়টি জানাজানি হলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মোঃ মাঈনুদ্দিন জুমবাংলাকে বলেন, ‘এটা কেমন কথা! মামলার সকল নথি পেয়েই তো প্রশাসন খুনি রাশেদ চৌধুরীর মালামাল ও সম্পত্তি ক্রোক করেছে। এখন সেই তথ্যের ফাইল প্রশাসনের রেকর্ডে খুঁজে না পাওয়ায় অন্য রকম ইঙ্গিত পাচ্ছি।
এদিকে, এমন চাঞ্চল্যকর তথ্যের পর খুনি রাশেদ চৌধুরীর ৬নং পূর্ব বড়কুল ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী গ্রামে গিয়েও উপজেলা প্রশাসন থেকে ঐ সময়ে সম্পত্তি ক্রোকের তথ্য সম্বলিত সাইনবোর্ডটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সরজমিনে সোনাইমুড়ী গ্রামে গেলে স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবীব বলেন, রাশেদ চৌধুরী শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেই সপরিবারে হত্যা করেনি, ১৯৭৫ সালের ২ আগস্ট রাতে আমার বাবা আব্দুল লতিফ মাস্টারকেও স্কুল সংক্রান্ত বিষয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল। আফসোস স্বাধীনতার এতো বছর পরেও খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে এনে তার ফাঁসির রায় কার্যকর করা যায়নি।
মরহুম আব্দুল লতিফ মাস্টারের ছোট মেয়ে নাছিমা আক্তার বলেন, প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতা নিয়ে হলেও অবিলম্বে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবী জানাচ্ছি।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ৬নং পূর্ব বড়কুল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামসুদ্দিন মিয়াজী বলেন, আব্দুল লতিফ মাস্টার একজন ভালো মানুষ ছিলেন। অবিলম্বে খুনি রাশেদ চৌধুরীকে খুঁজে বের করে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে আমাদের এই ইউনিয়নকে তথা সমগ্র দেশকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি।
খুনি রাশেদ চৌধুরীর ভাতিজা আরেফিন ফয়সাল চৌধুরী জানান, আমাদের এখানে রাশেদ চাচার কেউ থাকেনা। তার সাথে আমাদের কোনও সম্পর্কও নেই। প্রশাসন থেকে বাড়ি ও স্কুলের পুকুরের পাশে তার ১ একর ৪৬ শতাংশ জমি ক্রোক করা হয়েছিল। তবে প্রশাসনের লাগানো সাইনবোর্ড কে খুলে নিয়েছে বলতে পারি না।
হাজীগঞ্জের ইউএনও মোঃ রাশেদুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, এসিল্যান্ডকে বলেছি যে মামলায় রাশেদ চৌধুরীর মালামাল ও সম্পদ ক্রোক করা হয়েছে তার কপিটা আমাকে দিতে। কিন্তু ওই মামলার কপিটা পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা মামলার কপিটা দ্রুত আদালত থেকে তুলতে চেষ্টা করছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।