জুমবাংলা ডেস্ক: বগুড়া জেলার কৃষকদের মাঝে বঙ্গবন্ধু ধান -১০০ ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিআর-২৮ ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওযায় সেই জায়গা দখল করছে বঙ্গবন্ধু-১০০ ধান।
কৃষকরা এ ধানের আশাব্যঞ্জক ফলাফল পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান।
তিনি বলেন, বগুড়ায় ২০০০-২১ সালে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ যাত্রা শুরু। তখন প্রদর্শনী খামার স্থাপন করে বিঘা প্রতি ২৮ মণ ধান পওয়া যায়।
জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, ২০০০ -২১ সালে মাত্র ১৫ হেক্টর জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান -১০০ উৎপাদন হয় মাত্র ১৫ হেক্টর জমিতে। ২০২১-২০২২ সালেব বঙ্গবন্ধূ -১০০ ধান উৎপাদন হয় ২৫০ হেক্টার জমিতে। এর পর ধানের ফলন ভালো হওয়ায় এ জাতের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। এর পর ২০২২-২৩সালে উৎপাদন বেড়ে ১৫৮৭ হেক্টরে।
তিনি বলেন, এ জাতের ধান চিকন ও সাদা। এর জীবনকাল ১৪৮ দিন। এর গড় ফলন হেক্টরে ৭ দশমিক ৭ টন। এ ধানে রোগ বালাই অনেক কম হওযায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টরে ৮ দশমিক ৮ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে বলে দাবি এই কৃষি কর্মকর্তার।
জেলার কৃষি কর্মকর্তারা মনে করেন যেহেতু বিআর-২৮ ধান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে সেহেতু বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ সেই স্থান দখল করবে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, তারা বিআর-২৮ ধান চাষে কৃষদের নিরুৎসাহিত করছেন। এ ধানে এ বছর রোগ বালাইয়ের আক্রমণে অনেক জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের থালতা গ্রামের কৃষক আবদুল মজিদ জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে বঙ্গবন্ধু ধান ১০০ রোপণ করেছিলেন। গত মঙ্গলবার ধান কেটেছেন। বিঘাতে ২৭ মণ ধান পেয়েছেন।
তিনি বলেন, গত বছর বিআর-২৮ লাগিয়েছিলাম। সেই ধানে অনেক সমস্য দেখা দেওয়ায় এবার বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ চাষ করেছি।এখন অনেকে আমার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ বীজ নেওয়ার জন্য বুকিং দিচ্ছে।-বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।