
জুমবাংলা ডেস্ক : দিনভর যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো সাধারণ মানুষ। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ যানজট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
দিনভর বঙ্গবন্ধু সেতুর দুপাশে প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ জুড়েই যানজট ছিল। ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশে দীর্ঘ ৪০ কিলোমিটার এবং সেতুর পশ্চিমপাশে প্রায় ১৮ কিলোমিটারের মতো দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১১টার পর থেকে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকা থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই থেমে থেমে যানবাহন চলছিল। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাশ এবং পশ্চিমপাশে মুলিবাড়ি রেলক্রসিং থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত এ যানজট ছড়িয়ে পড়েছে।
সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব থানার ওসি মোশারফ হোসেন বলেন, সিরাজগঞ্জে গাড়ি রিসিভ করতে সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে টাঙ্গাইলের দিক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর ওপর পর্যন্ত গাড়ি আটকে আছে।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে গাড়ির চাপ বেড়েছে। আর শুক্রবার সকাল থেকে কয়েকগুণ বেশি গাড়ির চাপ পড়েছে। সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে মুলিবাড়ি রেলক্রসিং থেকে হাটিকুমরুল মোড় পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। রাতে ২২ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ওসি সৈয়দ সহিদ আলম বলেন, হঠাৎ করেই একদিকে যানবাহনের চাপ, অন্যদিকে হুড়োহুড়ি করে যাবার সময় থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নলকা সেতু ও এরিস্ট্রোক্রেট মোড়ে সরু ইছামতি সেতুর কারণে যানবাহন চলাচলে ধীরগতি আসছে বলে জানান বগুড়া হাইওয়ে অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



