‘অফিসের কাজে দেশের বাইরে থাকতে হয়’- আরও যা বললেন মিথিলা

'বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় অফিসের কাজেই দেশের বাইরে থাকতে হয়'

বিনোদন ডেস্ক : বর্তমানে বাংলাদেশ ও কলকাতা দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মডেল রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। তবে এখন তিনি দুই বাংলার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী। সংসারের জন্য বছরের দীর্ঘ একটা সময় তাকে কলকাতাতেই থাকতে হয়। তবে সেখান থেকে এবার বেশ লম্বা বিরতি নিয়েই দেশে চলে এলেন মিথিলা। কেন এলেন? জবাবে মিথিলা জানালেন, সিনেমার শুটিং-এ অংশ নিতে এবং অফিসের কিছু কাজ করতেই তিনি দেশে এসেছেন।

'বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় অফিসের কাজেই দেশের বাইরে থাকতে হয়'
ফাইল ছবি

মিথিলা এরইমধ্যে গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত ‘কাজল রেখা’ সিনেমার শুটিং করছেন নেত্রকোনার দূর্গাপুরে। এই সিনেমায় তিনি কংকন দাসী চরিত্রে অভিনয় করছেন। আবার সিনেমার কাজ শেষে তিনি অফিসের কাজ অর্থাৎ ব্র্যাক’র কিছু কাজ আছে তা শেষ করে তিনি আগামী সপ্তাহে এক মাসের জন্য অফিসিয়াল কাজের জন্য চলে যাবেন তানজানিয়া ও কেনিয়া। সেখান থেকে এসে পরের মাসে চলে যাবেন আমেরিকা। সেখানে তার অভিনীত রাজশ্রী দে পরিচালিত ‘মায়া’ সিনেমাটি বঙ্গ সম্মেলনে প্রদর্শন করা হবে।

এদিকে আজ (২৫ মে) মিথিলা’র জন্মদিন। কাজল রেখা’তে অভিনয়, সংসার জীবন, দেশে ঠিকঠাক মতো না থাকতে পারা, বাবা মা ভাই বোনকে সময় দিতে না পারা’ প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘আমি তো অনেক আগে থেকেই নিজেকে গ্লোবাল সিটিজেন মনেকরি। যে কারণে আমাকে বছরের নির্দিষ্ট একটি সময় অফিসের কাজেই দেশের বাইরে থাকতে হয়। আর এখন যেহেতু আমার সংসার কলকাতায়, তাই কলকাতাতেও অনেক সময় দিতে হয়। যে কারণে বাবা মা ভাই বোনকে ঢাকায় নিজের মনের মতো করে সময় দেয়া হয়ে উঠেনা। তবে আমার মেয়ে সবসময়ই আমার সঙ্গে থাকে। সে এখন কলকাতাতেই পড়াশুনা করছে। জন্মদিন নিয়ে এখন আর ছোটবেলার মতো করে উৎসব মুখর কোন চিন্তা করিনা। এখন আসলে কোনরকমভাবে দিনটি উদযাপন করতে পারলেই হয়।’

কাজল রেখা সিনেমা প্রসঙ্গে মিথিলা বলেন, ‘এখন যেহেতু কাজল রেখা সিনেমার সেট-এ আছি, তাই আমার কোন পরিকল্পনা নেই। সেলিম ভাইয়ের নির্দেশনায় এটি আমার প্রথম কাজ। সেলিম ভাই খুব ভালো করে বুঝিয়ে দেন বিধায় চোখ বন্ধ করে অভিনয় করতে পারছি, নিজের চরিত্রটি তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তবে কংকন দাসী চরিত্রটি একেবারেই আলাদা একটি চরিত্রে। আমি খুব আশাবাদী সিনেমাটি নিয়ে।’

রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ব্র্যাক-এর ‘আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপম্যান্ট’ বিভাগের প্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছেন। কলকাতায় তার শেষ হয়ে যাওয়া সিনেমাগুলো হচ্ছে রাজশী দে’র ‘মায়া’ ও অরুনাভ খাসনবিশের ‘নীতিশ্রাস্ত্র’।

নব্বই দশকের জনপ্রিয় ব্যান্ডশিল্পী এখন গণশৌচাগারের তত্ত্বাবধায়ক!