জুমবাংলা ডেস্ক : কাশ্মীরি জাতের আপেল কুল চাষ করে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের খাগা গ্রামের জুলফিকার আলী। শিক্ষকতার পাশাপাশি সাড়ে ৭ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে কাশ্মীরি জাতের আপেল কুল বরই চাষ করেন তিনি। আর এ বরই চাষেই ভাগ্য ফিরেছে তার।
জানা যায়, খাগা গ্রামের জুলফিকার আলী ২০০৯ সাল থেকে আপেল কুল চাষ করে আসছেন। সাড়ে ৭ বিঘা জমি বর্গা নিয়ে তিনি এই কুল বরই চাষ করছেন। ২০০৯ সালে ১০০ চারা দিয়ে শুরু করেন।
আজ তার বাগানে ২৫০টি গাছ রয়েছে। প্রতিবছর এই গাছগুলোর পরিচর্যা ও জমির খরচ হয় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আর প্রতি বছর ফল বিক্রি করেন ৫ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। জুলফিকার আলী কাজীপুর উপজেলার বীর শুভগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বর্তমানে তিনি একজন সফল কুল চাষি।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষক জুলফিকার আলীর কুল চাষ দেখে এলাকার লোকজন উৎসাহিত হচ্ছেন। অনেকেই কুল চাষে এগিয়ে আসছেন। অনেকেই তাকে দেখে কুল চাষ শুরু করেছেন। যে কেউ তার কাছ থেকে সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারে।
কুল চাষি জুলফিকার আলী বলেন, ২০০৯ সালে ৬৫ হাজার টাকায় সাড়ে ৭ বিঘা জমি ভাড়া নিয়ে কুল চাষ করে আসছি। প্রতি বছর জমির ভাড়া ও বাগান পরিচর্যায় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। প্রথম দুই বছর খুব একটা লাভ করতে পারিনি। কারণ প্রথম অবস্থায় বুঝতে পারিনি। আস্তে আস্তে এখন সব ঠিক হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ২২ কেজি আপেল কুল ধরেছে। প্রতিকেজি ৯০ থেকে ১০০ টাকা বিক্রি করছি। দামটাও বেশ ভালো পাচ্ছি। কুল দেখতে সুন্দর আবার খেতেও খুব মিষ্টি হয়েছে। বাগান থেকে কুল সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুস্তম আলী জানান, সিরাজগঞ্জ সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় উন্নত জাতের আপেল কুলের চাষ হচ্ছে। জুলফিকার আলী এখন অভিজ্ঞ কুল চাষি। তিনি আপেল কুল চাষে সফলতা পেয়েছেন। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। তাকে দেখে আরো মানুষ এই কাজে উৎসাহিত হবে বলে আশা করছেন এই কর্মকর্তা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।