জুমবাংলা ডেস্ক : এক ফসলি এলাকা হিসেবে চিহ্নিত খুলনার বটিয়াঘাটায় বিনা চাষে আলু উৎপাদন করে সফলতা পেয়েছেন অনেকেই। এ চাষ এখন সর্বত্র জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বারি-৭৮ জাতের আলু উৎপাদনে কোনো চাষের প্রয়োজন হয় না। ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে খেতের নাড়া (খড়) কেটে আলু সারিবদ্ধভাবে পুঁতে দিতে হয়।
এ পদ্ধতিতে আলুর চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন গৃহবধূ প্রিয়াংকা মিস্ত্রী। বটিয়াঘাটা এলাকার ফুলতলা গ্রামের কৃষক বনমালী রায় ও ছয়ঘরিয়া গ্রামের কৃষাণি প্রিয়াংকা মিস্ত্রী বলেন, তারা মাত্র আড়াই মাস আগে প্রদীপন থেকে ২০ কেজি আলুর বীজ সংগ্রহ করেন। চাষ শেষে তিন মণ করে ফলন পেয়েছেন।
এ বিষয়ে কৃষিবিদ দুর্গাপদ সরকার বলেন, বারি-৭৮ জাতের আলু উৎপাদনে কোনো চাষের প্রয়োজন হয় না। ধান ওঠার সঙ্গে সঙ্গে খেতের নাড়া (খড়) কেটে আলু সারিবদ্ধভাবে পুঁতে দিতে হয়। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই আলুর গাছ খড়ের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে আসে। আর ৯০ দিনের মধ্যেই আলু ঘরে তোলা যায়।
আলু চাষে কৃষকদের আরো উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি অফিসের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে মঙ্গলবার ৩৪ জন কৃষক-কৃষাণিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা শামীম আরা নিপা, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপংকর মণ্ডল ও কৃষিবিদ দুর্গাপদ সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।