জুমবাংলা ডেস্ক : গাজীপুরে বন্ধুর স্ত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ এবং সেই ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠলেও পাওনা টাকা আত্মসাৎ করতেই এ ধর্ষণ ‘নাটক’ সাজানো হয়েছে বলে দাবি অভিযুক্তদের স্বজনরা।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ মামলা দায়ের করলেও পুলিশ নয় মাসেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অভিযোগ ওঠা তিনজনের মধ্যে দুজন সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের নেতা।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ বলেন, আমি তো বাইরে বের হতে পারি না, মান সম্মান নেই। সামাজিকভাবে নিজেকে অনেকটা এক ঘরে করে রেখেছেন নির্যাতনের শিকার এই গৃহবধূ। দুই বছরের শিশু সন্তানকেও মুখ দেখাতে চাচ্ছেন না তিনি। জিম্মি করে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ এনে স্বামীর দাবি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের।
নির্যাতিতার স্বামী বলেন, কয়েকটা পর্ন সাইটে তারা এসব ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর রাতে কাপাসিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক রাসেল মোল্লা বন্ধুর বাড়িতে যান। কেউ না থাকার সুযোগে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে বন্ধুর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অপর বন্ধু সবুজ ও সোহেলকে নিয়ে বিভিন্ন সময় ওই নারীকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত দলিল লেখক রাসেল অফিস সহকারি হিসেবে কাজ করায় তাদের সঙ্গে সখ্যতা হয় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামীর।
এদিকে অভিযুক্তদের স্বজনের দাবি, পাওনা টাকা আত্মসাৎ করতেই স্ত্রীকে দিয়ে ধর্ষণ মামলায় তাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে জানিয়ে পুলিশ বলছে, আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, তাৎক্ষণিক অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা রুজু করা হয়েছে। এদের মধ্যে রাসেল মোল্লা কাপাসিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ও খাইরুল ইসলাম সবুজ একই কমিটির সদস্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।