Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home বন্ধ করে দেওয়া হল তাজমহল, ক্রমশ গৃহবন্দি হচ্ছে দিল্লি
Coronavirus (করোনাভাইরাস) আন্তর্জাতিক স্লাইডার

বন্ধ করে দেওয়া হল তাজমহল, ক্রমশ গৃহবন্দি হচ্ছে দিল্লি

জুমবাংলা নিউজ ডেস্কMarch 17, 2020Updated:March 17, 20203 Mins Read
Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনা আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হল তাজমহল। আতঙ্কে ক্রমশ গৃহবন্দি হচ্ছে দিল্লি। খবর ডয়চে ভেলের।

ধীরে ধীরে সবকিছুই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্কুল, কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ। বন্ধ সিনেমা হল, স্পা, জিম, নাইট ক্লাবের দরজাও। পঞ্চাশ জন লোকের বেশি জমায়েত করা যাবে না বলে, সামাজিক, ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক অধিকাংশ অনুষ্ঠানই বাতিল। মঙ্গলবার তাজমহলের দরজাও দর্শনার্থীর জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম, সম্রাট শাহজাহানের প্রিয় তাজ এখন পড়ে থাকবে একাকী। করোনা-আতঙ্কে বন্দি হয়ে। ‘কালের কপোলতলে শুভ্র সমুজ্জ্বল’ তাজ মহলের সামনে মুগ্ধ লোকের ভিড় আপাতত থাকবে না। করোনার কারণে তাজমহলে ‘প্রবেশ নিষেধ’ বোর্ড লেগে গিয়েছে।

করোনার আতঙ্কে ক্রমশ বাড়িতেই আবদ্ধ হয়ে পড়ছে দিল্লিও। চাকরির জন্য যেটুকু বাইরে বেরনো, তার বাইরে ঘরের নিরাপদ চার দেওয়ালের মধ্যে থাকাই পছন্দ করছেন দিল্লিবাসী। তাই রাস্তায় লোক কম, বাজারে ভিড় নেই বললেই চলে। রেস্তোরাঁ খা খা করছে। কনট প্লেসের কাছে সদাব্যস্ত হনুমান মন্দিরেও লোক নেই।

শুধু তো তাজ নয়, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং হচ্ছে দিল্লির সব জনপ্রিয় স্থাপত্যের দরজাও। ফলে লোকের যাওয়ার জায়গাও কমে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, শপিং মলগুলিকে বলা হয়েছে, গোটা চত্বর জীবাণুমুক্ত করতে হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলে শপিং মলের দরজাও বন্ধ হতে পারে, এমন ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে সরকার।

সন্ধ্যা ছয়টা। চিত্তরঞ্জন পার্কের এক নম্বর মার্কেট। এককোণায় কলকাতার মতো ফুচকা বিক্রি হয়। সেখানে পাঁচটার পরেই থিকথিক করে ভিড়। করোনা আতঙ্কে ভিড় উধাও। একজন মাত্র ফুচকা খেয়ে যাচ্ছেন। রোল, চপ, কাটলেট, চাইনিজ চাটের দোকান মাছি তাড়াচ্ছে। বিক্রেতার দাবি, ”বিক্রিবাটা আশি শতাংশ কমে গিয়েছে।” মাছের বাজারে বরফাবৃত রুই, কাতলা, পাবদা, চিংড়ি, চিতল, ভেটকির শরীর থেকে ঠিকরে পড়ছে আলো। কিন্তু ক্রেতার দেখা নেই। হা পিত্যেশ করে ক্রেতার আশায় বসে থাকা দুলালবাবুর দাবি, ”ভয়ে লোকে বাজারমুখো হচ্ছেন না। বিক্রিবাটা নেই বললেই চলে। বরফের খরচ বেড়ে যাচ্ছে। আমরা বাধ্য হয়ে মাছের দাম বাড়াচ্ছি। বিক্রি সত্তর থেকে আশি শতাংশ কমে গিয়েছে। পাইকারের কাছে টাকা বাকি পড়ে যাচ্ছে।” দুই নম্বর মার্কেটের মাছ বিক্রেতা টাবুর বিক্রি কমেছে পঞ্চাশ থেকে ষাট শতাংশ। তাঁর প্রশ্ন, ”মাছ খেলে তো করোনা হচ্ছে না। তা হলে মাছ কেনা কেন বন্ধ করছেন লোকে?’

বাজেরে এসেছিলেন অরুণাভ পাল। ডয়চে ভেলের কাছে তাঁর স্বীকারোক্তি, ”খুব দরকার না হলে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি না। আর খাবার জিনিসপত্র বাড়িতে একটু বেশি করে রেখে দিচ্ছি। আমার পাঁচ কিলোর এক প্যাকেট আটা কেনার দরকার ছিল। কিনলাম দুই প্যাকেট।” এটাই এখন দিল্লির ক্ষেত্রে সত্যি। তবে দিল্লির লোক যার সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরছেন, তা হল স্যানিটাইজার। করোনা-আতঙ্কের বাজারে অধিকাংশ দোকান থেকেই স্যানিটাইজার উধাও হয়ে যাচ্ছে।

খুব দরকার ছাড়া কেউ বেরচ্ছেন না। ফলে বিপাকে পড়েছেন অটো চালকরা। হাউজ খাসে অটো চালান বাবু চৌপাল। সাধারণত, যাত্রী নিয়ে একটু দূরে যেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এখন আর তেমন বাছাবাছির কোনও উপায় নেই। সকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে অটো নিয়ে বেরিয়েছেন। সাড়ে দশটা পর্যন্ত তিনজন যাত্রী পেয়েছেন। অন্য সময় হলে সংখ্যাটা কয়েক গুণ হত। কিন্তু ঘরবন্দি দিল্লিতে রাস্তায় নামার লোকও কমে গিয়েছে।

বিদেশ থেকে যাঁরা দিল্লিতে আসছেন, তাঁদের অনেককেই পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কোয়ারেনটাইনে। কিন্তু যে বাড়িতে তাঁদের রাখা হচ্ছে, তা নিয়েও বিস্তর অভিযোগ। নোংরা জায়গা। প্রচুর লোককে রাখা হচ্ছে সেখানে। সামাজিক মাধ্যমে সেই সব ছবি ভাইরাল হচ্ছে।

তার প্রভাব পড়ছে ব্যবসাতে। সোমবারদিল্লির ব্যবসা বানিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের কাছে গিয়েছিলেন দিল্লির বিভিন্ন বাজার সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, চাঁদনী চক, সদর বাজার, খাড়ি বাউলি, নয়া বাজার সহ বিভিন্ন ব্যস্ত বাজারে বিক্রিবাটা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমে গিয়েছে। দিল্লির বাইরে থেকে পাঁচ লাখ লোক রোজ এই সব বাজারে আসতেন। তাঁদের সংখ্যা একেবারে কমে গিয়েছে। আর কারখানার মালিকরা মন্ত্রীকে বলেছেন, ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স, মোবাইল, খেলনা, অটো পার্টসের চাহিদা ভয়ঙ্করভাবে কমে গিয়েছে।

দিল্লিতে অফিসযাত্রীরা বেরচ্ছেন। দিন আনি দিন খাই লোকেরা বেরচ্ছেন। এখনও খোলা আছে শপিং মল। কিন্তু আতঙ্কের কারণে তাও ফাঁকা। বাকি সবই ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আতঙ্ক বাড়ছে। বেড়েই চলেছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
(করোনাভাইরাস) coronavirus আন্তর্জাতিক করে ক্রমশ গৃহবন্দি তাজমহল দিল্লি দেওয়া বন্ধ স্লাইডার হচ্ছে হল
Related Posts
ট্রাম্প

আরও ৭ দেশের নাগরিকের জন্য ট্রাম্পের বড় দুঃসংবাদ

December 17, 2025
সু চি

এবার অং সান সু চি’র মৃত্যুর খবর, যা বলছে মিয়ানমার জান্তা

December 17, 2025
নেতাকর্মী গ্রেফতার

নোয়াখালীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার

December 17, 2025
Latest News
ট্রাম্প

আরও ৭ দেশের নাগরিকের জন্য ট্রাম্পের বড় দুঃসংবাদ

সু চি

এবার অং সান সু চি’র মৃত্যুর খবর, যা বলছে মিয়ানমার জান্তা

নেতাকর্মী গ্রেফতার

নোয়াখালীতে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মী গ্রেফতার

বিজয় দিবস উদযাপন

ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিজয় দিবস উদযাপন

শেষ ষোলোতে বার্সেলোনা

কোপা দেল রেতে গুয়াদালাহারাকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে বার্সেলোনা

শুনানি

আনিসুল-সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

ফয়সালের বাবা-মা গ্রেপ্তার

হাদি হত্যাচেষ্টার মূল অভিযুক্ত ফয়সালের বাবা-মা গ্রেপ্তার, উদ্ধার ২১৮ কোটি টাকার চেক

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

আজ ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

নতুন ব্যবস্থার রাজনীতি

বাংলাদেশ চলবে নতুন ব্যবস্থার রাজনীতিতে: জামায়াত আমির

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি

স্বাধীনতাবিরোধীরা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে চায়: মির্জা ফখরুল

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.