খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং এর শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ২৫.৭১ শতাংশ। এক সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ার গেইনারদের দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে। এর ফলে বাজারে মূলধন বেড়েছে ৩৯ কোটি টাকা। বন্ধ থাকা একটি কোম্পানির শেয়ার এভাবে লাফিয়ে বাড়া নিয়ে বিনিয়োগদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার সমাপনী দরকার দাঁড়ায় ২৬ টাকা ৪০ পয়সা। আগের দিন এটি ছিলো ২১ টাকা। এ অল্প সময়ের মধ্যেই ৫ টাকা বেড়েছে যা ২৫ শতাংশের সমান। এখন তাদের শেয়ার সংখ্যা সাত কোটির উপরে।
বাজারে মূলধন বেড়েছে 39 কোটি টাকা। কোম্পানির পক্ষে বলা হয় যে, শেয়ার বেচা-কেনা করা তাদের কাজ না। তবে যারা শেয়ার অলরেডি ক্রয় করেছেন তারা জানবে যে, কেন এত বেশি দরে কোম্পানিটির শেয়ার কেনা হয়েছে।
অপরদিক ডিএসইতে গত ১ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়িয়েছিল ৯ টাকা ৩০ পয়সা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ২৬ টাকা ৪০ পয়সা। এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি দর বেড়েছে ১৭ টাকা ১০ পয়সা বা ১৮৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গত ১ জানুয়ারি কোম্পানিটির শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন দাঁড়িয়েছিল ৬৭ কোটি ৯২ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ারের মাধ্যমে বাজারে মূলধন দাঁড়ায় ১৯২ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। এক মাসের ব্যবধানে কোম্পানিটির বাজারে মূলধন বেড়েছে ১২৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ২০২১-২০২২ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল নেগেটিভ এক টাকা ৯৮ পয়সা। এরপর থেকে এখন পযর্ন্ত কোম্পানিটি কোন আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেননি।
খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের শেয়ারের দর কেন বাড়ছে, সেই বিষয়ে কাজ করেছে ডিএসই। ইতোমধ্যে কয়েকবার ডিএসই কোম্পানিটির কাছে জানতে চেয়েছে, শেয়ারের দর বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আছে কি না। ডিএসই সেই প্রশ্নের জবাবে সম্প্রতি কোম্পানি জানায়, শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি কোনো অপ্রকাশিত মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। এরপরও শেয়ারটির দর বেড়েই চলছে।
বরাবরের মতো এবারও গত ২৭ জানুয়ারি ডিএসই জানায়, গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের কারখানা প্রাঙ্গণ এবং প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করা হয়েছিল। তখন তাদের সব কার্যক্রম বন্ধ পাওয়া যায়।
অনুসন্ধানের দেখা যায় যে, কোম্পানিটির সম্পদ মূল্য নেগেটিভ। এই অবস্থায় কোন কোম্পানির শেয়ার বাড়াটা স্বাভাবিক নয়। কৃত্রিম উপায়ে কিছু করা হচ্ছে বলে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আজ থেকে ১১ বছর আগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছিল খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং। এই কোম্পানিতে জেড ক্যাটাগরির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।