জুমবাংলা ডেস্ক : ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত শেরপুর ও ময়মনসিংহের কয়েক লাখ মানুষ। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে চরম দুর্ভোগে দিন কাটছে তাদের। ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন অনেক কৃষক। দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে গবাদি পশু খাদ্যের তীব্র সংকট। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির করা প্রতিবেদন থেকে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
গেল বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে সৃষ্টি হয়েছে আকস্মিক বন্যা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ১৯৮৮ সালের পর এ বছরই এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেছে শেরপুরের মানুষ। বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট ও ফসলের মাঠ তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে পাঁচ উপজেলার দুই লাখ বাসিন্দা।
বাড়ি-ঘরে পানি ওঠায় দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট। বন্যার চারদিন পার হলেও এখনও ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ বানভাসী মানুষের।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলছেন, বৃষ্টির পানিতে শনিবার রাত থেকে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে ঘরের চালে, সিলিংয়ে ও মাচায়।
বন্যায় বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে আসা এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, চার দিন যাবত বন্যা হলেও এখনও ত্রাণ পাননি তারা। এ পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে আট জন। এ ছাড়াও নিখোঁজ রয়েছে অনেকে।
বন্যায় চারণভূমি ডুবে থাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের চরম সংকট। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলায় ৪৩ হাজার হেক্টর জমির ধান এখন পানির নিচে। ফসল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে অনেক কৃষক। ভেসে গেছে ১০ হাজার ৭ শ ৫১টি মাছের ঘের।
স্থানীয় এক কৃষক জানান, পানিতে তলিয়ে গেছে তাঁর স্বপ্ন ও উঠতি আমনের খেত। বিভিন্ন স্থানে বানের পানিতে ধসে ও ভেসে গেছে কাঁচা ঘর-বাড়ি। পানিতে ভাসছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র। এসব এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিছু আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও তা অপর্যাপ্ত। গরু-ছাগলের খাদ্য সংকট হয়ে উঠেছে তীব্র।
নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে সরকারি-বেসরকারি সহায়তা চান ক্ষতিগ্রস্তরা। এ বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে কৃষকদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
ময়মনসিংহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. নাছরিন আক্তার বানু বলেন, ‘যেসব জমি বন্যার পানিতে আংশিক নিমজ্জিত সেসব জমিতে পানি নেমে গেলে তেমন সমস্যা হবে না। তবে যে জমিগুলো অনেক বেশি পরিমাণে ডুবে গেছে সেগুলোর জন্য আমরা সহায়তা চাইব।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।