Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বন্যা মোকাবিলায় এবার চীনে তৈরি হচ্ছে আস্ত একটা ‌স্পঞ্জ সিটি
    আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    বন্যা মোকাবিলায় এবার চীনে তৈরি হচ্ছে আস্ত একটা ‌স্পঞ্জ সিটি

    Sibbir OsmanNovember 13, 20215 Mins Read
    Advertisement

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যেদিন নদীতে ডুবে মরতে বসেছিলেন সেই দিনটার কথা ইউ কংজিয়ানের স্পষ্ট মনে আছে। চীনের যে কৃষি কমিউনে তার বাড়ি, তার পাশের নদীটি বন্যায় ফুলে ফেঁপে উঠেছিল। ইউ কংজিয়ানের বয়স তখন ১০ বছর। বন্যার জলধারা দেখতে তিনি দৌড়ে গিয়েছিলেন নদীর পাড়ে।

    হঠাৎ করেই তার পায়ের নিচের মাটির সরে গেল, এক মুহূর্তে তিনি পড়ে গেলেন নদীর পানিতে। তারপর ভেসে যেতে যেতে নদীর পাশের লতাগুল্ম ধরে তিনি প্রাণরক্ষা করতে পেরেছিলেন। উঠে এসেছিলেন নদীর পাড়ে।

    ইউ কংজিয়ান বিবিসি-কে বলেন, ‘আমার স্থির বিশ্বাস, সেদিনের সেই নদী যদি আজকের মতো হতো, যেখানে নদীর পাড় বাঁধানো রয়েছে কংক্রিট দিয়ে, তাহলে আমি আর জীবন বাঁচানোর জন্য কোনও কিছু খুঁজে পেতাম না।’

    সেদিনের সেই ঘটনা শুধু তার জীবনকেই বদলে দেয়নি, বদলে দিয়েছে চীনের বহু জায়গা। ইউ কংজিয়ান চীনের সবচেয়ে খ্যাতনামা নগর পরিকল্পনাবিদদের একজন। পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কিটেকচার অ্যান্ড ল্যান্ডস্কেপ কলেজের ডিন তিনি। এই মানুষটিই হচ্ছেন ‘স্পঞ্জ সিটি’ ধারণার জনক। এই ধারণা প্রয়োগ করেই বহু শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া নদীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। বন্যার অতিরিক্ত পানি শহরগুলোতে নানা উপায়ে ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    তিনি মনে করেন, বিশ্বের অন্যান্য শহরেও এই ‘স্পঞ্জ সিটি’ গড়ে তোলা সম্ভব। যদিও প্রবল বন্যার সময় এই পরিকল্পনা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।

    ‘পানির সঙ্গে লড়াই নয়’

    বন্যাকে ভয় না করে কেন তাকে বরণ করা যায় না? অধ্যাপক ইউ-র ‘স্পঞ্জ সিটি’ ধারণার মূল প্রশ্নই এটি। এখনকার বন্যা নিয়ন্ত্রণে দৃষ্টি দেওয়া হয় পাইপ বসিয়ে, ড্রেন তৈরি করে বন্যার পানিকে যত দ্রুত সম্ভব পার করে দেওয়া। অথবা নদীর দুই কূল কংক্রিট দিয়ে বাঁধাই করে দেওয়া যাতে বন্যার পানি উপচে না পড়ে। কিন্তু স্পঞ্জ সিটিতে এর উল্টো কাজ করা হয়। এখানে বন্যার পানিকে স্পঞ্জের মতো চুষে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় এবং স্রোতের গতি কমিয়ে আনা হয়।

    এই কাজটা হয় তিন ভাগে। প্রথমত, বন্যার পানি যেখান থেকে আসে। স্পঞ্জের মধ্যে যেমন অনেক ছোট ছোট গর্ত দিয়ে পানি চুষে নেওয়া হয়, তেমনিভাবে শহরের মধ্যে অনেক জলাশয় তৈরি করে পানি ধারণ করা হয়। দ্বিতীয় কাজটি হলো পানির ধারা নিয়ন্ত্রণ। বন্যার পানিকে লম্বালম্বি লাইন ধরে সরিয়ে না নিয়ে আঁকাবাঁকা পথ দিয়ে পানিকে প্রবাহিত হতে দেওয়া এবং গাছপালা, লতাগুল্ম দিয়ে পানির গতি কমিয়ে আনা। এর বাড়তি সুবিধা হলো, শহরের মধ্যে অনেক খোলা জায়গা তৈরি হবে, তৈরি হবে পার্ক, বন্য প্রাণীর বসবাসের জায়গা। জলজ লতাগুল্ম বন্যার পানির দূষণ কাটাতেও সাহায্য করবে। তৃতীয় কাজটি হলো বন্যার পানির প্রস্থানের জায়গা, যে পানি, নদী, লেক কিংবা সমুদ্রে গিয়ে পড়বে।

    অধ্যাপক ইউ-র পরামর্শ, নিচু জায়গা থেকে মানব বসতি বা দালানকোঠা সরিয়ে ফেলতে হবে। তিনি বলেন, ‘বন্যার পানিকে আপনি আটকে রাখতে যাবেন না। এটিকে সরে যাওয়ার পথ করে দিতে হবে।’ সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড. নির্মল কিশনানি বলছেন, এ ধরনের পরিকল্পনা বিশ্বের অন্য জায়গাতেও রয়েছে। তবে স্পঞ্জ সিটি শুধু শহরের বন্যা সমস্যা দূর করতে পারে। তার ভাষায়, ‘এই মুহূর্তে সমস্যা একটা রয়েছে। কিন্তু মোদ্দা কথা হলো, আমরা প্রকৃতির অংশ। আর সেই প্রকৃতির কাছাকাছি ফিরে যাওয়ার জন্য আমাদের পথ খুঁজে পেতে হবে।’

    অধ্যাপক ইউ’র মাথায় স্পঞ্জ সিটির ধারণাটি প্রথম আসে পূর্ব চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় বেড়ে ওঠার সময়। সেখানে তিনি দেখেছেন চীনের ঐতিহ্যবাহী কৃষি ব্যবস্থা যেখানে পুকুর, ডোবাতে বৃষ্টির পানি ধরে রাখা হয়। এসবের ওপর ভিত্তি করে তিনি যে পরিকল্পনা তৈরি করেন সেজন্য তার ল্যান্ডস্কেপিং কোম্পানি টুরেনস্কেপ বহু পুরষ্কার জিতেছে।

    তিনি বলেন, ‘বন্যার পানিতে কেউ প্রাণ হারাবে না। এমনকি বর্ষার মৌসুমেও। এজন্য শুধু আমাদের শিখতে হবে কীভাবে পানির সঙ্গে সন্ধি করে বেঁচে থাকতে হয়। বন্যা এলে তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো শিখতে হবে।

    ১৭ বছর বয়সে ইউ কংজিয়ান বাড়ি ছেড়ে বেইজিং চলে যান। সেখানে তিনি ল্যান্ডস্কেপিংয়ের কাজ শেখেন। এক পর্যায়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি যখন চীনে ফিরে আসেন তখন পুরো দেশজুড়ে চলছিল নির্মাণকাজের মহাযজ্ঞ, যেটি এখনও চলছে। ইট, কাঠ, পাথরের প্রাণহীন জঙ্গল দেখতে দেখতে তিনি স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। এরপর থেকেই অধ্যাপক ইউ চীনা ঐতিহ্য অনুসরণ করে নগর পরিকল্পনার পক্ষে কথা বলতে শুরু করেন। স্পঞ্জ সিটি ধারণার পাশাপাশি তিনি শহরের মধ্যে গ্রামীণ পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনার পক্ষেও যুক্তি তুলে ধরেন।

    তার বিশ্বাস, চীনের উপকূলীয় এলাকা এবং অন্যান্য জায়গা যেখানকার প্রকৃতি ও আবহাওয়া একই রকম, সেসব জায়গায় এমনভাবে শহর গড়ে তোলা হচ্ছে যা একেবারেই টেকসই না। তার ভাষায়, ‘ইউরোপীয় নগর পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি ডিজাইন কখনও এশিয়ার বর্ষা মৌসুমের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারে না। এসব শহর টিকে থাকতে পারে না। কারণ এগুলো তৈরি করা হয়েছে পশ্চিমা ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি থেকে ধার করা নগর পরিকল্পনাকে নকল করে।’

    শুরুর দিকে অধ্যাপক ইউ বেইজিং-এর কাছ থেকে নানা রকম বাধা-বিপত্তির মুখে পড়েন। চীনের গর্ব করার মতো বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প থ্রি গর্জেস ড্যামসহ সরকারের নানা প্রকৌশল পরিকল্পনার সমালোচনার জন্য তার প্রতি প্রশাসন বিরক্ত হয়। এর পাশাপাশি হার্ভার্ডে তার শিক্ষা ও তার প্রতি পশ্চিমা দেশের প্রশংসা; এসব কারণে অনেকে তাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ এমনকি একজন ‘গুপ্তচর’ হিসেবে ডাকতে থাকে।

    অধ্যাপক ইউ নিজেকে চীনা সংস্কৃতি বিপ্লবের ফসল হিসেবে বর্ণান করেন। সেজন্য তার কাছে এসব অভিযোগ হাস্যকর লাগে। তার ভাষায়, ‘আমি পশ্চিমা না। আমি হচ্ছি চীনা ঐতিহ্যপন্থী। আমাদের রয়েছে হাজার বছরে ঐতিহ্য। আমরা যেভাবে সমস্যার সমাধান করি তা আপনিও উপেক্ষা করতে পারবেন না। চীনা ঐতিহ্যকে আমাদের সব সময়ই অনুসরণ করতে হবে।’

    বেইজিং ও উহানে বড় ধরনের বন্যার পর তার পরিকল্পনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হয়েছে। তার পরিকল্পনার প্রতি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সমর্থনের পর ২০১৫ সালে চীন সরকার একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা ঘোষণা করে। কয়েক লাখ ইউয়ান অর্থমূল্যের এই ঘোষণায় বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে চীনের সব মিউনিসিপাল এলাকার শতকরা ৮০ ভাগে স্পঞ্জ সিটি ধারণা প্রয়োগ করতে হবে। বৃষ্টির পানির ৭০ শতাংশ পূনর্ব্যবহার করতে হবে। সূত্র: বিবিসি।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    itel-ZENO-10

    itel ZENO 10: দুর্দান্ত ফিচারের সঙ্গে সাশ্রয়ী দামে সেরা স্মার্টফোন

    September 5, 2025
    ChatGPT

    চ্যাটজিপিটিকে ভুলেও শেয়ার করবেন না এই তথ্য – জানুন জরুরি সতর্কতা

    September 5, 2025
    Lava Yuva Smart 2

    Lava Yuva Smart 2 : বাজেট সেগমেন্টে নতুন শক্তিশালী স্মার্টফোন

    September 5, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Brazil Considers Retaliation Over Trump Tariffs

    Brazil Considers Retaliation Over Trump Tariffs

    New Honda Prelude Sparks S2000 Revival Speculation

    New Honda Prelude Sparks S2000 Revival Speculation

    Samsung Plans 25-Inch OLED Gaming Display for 2025 Launch

    Samsung Plans 25-Inch OLED Gaming Display for 2025 Launch

    ওয়েব সিরিজ

    উল্লুর নতুন ওয়েব সিরিজে রোমান্স আর নাটকীয়তার ছোঁয়া!

    AMD Zen 5 Ryzen 5 9500F and Ryzen 7 9700F Listed at US Retailer

    AMD Zen 5 Ryzen 5 9500F and Ryzen 7 9700F Listed at US Retailer

    বগলের লোম

    বগলের লোম‌ ও কালো দাগ তুলে বগল পরিস্কার করার দুর্দান্ত উপায়

    jalen carter

    Did Eagles’ Jalen Carter Deserve to Be Ejected for Spitting Incident?

    Land Rover Defender Electric Compact SUV to Rival Mercedes G-Class

    Land Rover Defender Electric Compact SUV to Rival Mercedes G-Class

    Amanda Seyfried Goes Feral for Ann Lee Role in "Shakers

    Amanda Seyfried Goes Feral for Ann Lee Role in “Shakers

    Warwick Davis Returns as Flitwick in HBO Harry Potter Series

    Warwick Davis Returns as Flitwick in HBO Harry Potter Series

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.