জুমবাংলা ডেস্ক দ্বীপ জেলা ভোলার লালমোহন উপজেলায় একশত শতাংশ জমিতে বরই চাষ করেন মো. হোসেন। উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের নিজ গ্রাম পূর্ব চরউমেদে চাষ করেন তিনি।
পূর্ব চর উমেদ গ্রামে হোসেনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি ৩ বছর আগে দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যান। সেখানে বরই চাষ দেখে আকৃষ্ট হন। ২০২০ সালে নিজ গ্রামে একশত শতাংশ জমিতে তৈরি করেন বরই বাগান। সেই বাগানে রয়েছে বল সুন্দরী ও আপেল কুল জাতের বরই। যা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।
মো. হোসেন বলেন, ‘আমি একশত শতাংশ জমিতে বরই বাগান করার এক বছরে ফল আসে। প্রথমবারে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ করি। ব্যয় বাদে বরই বিক্রি করে অন্তত ১ লাখ টাকা লাভবান হই। এরপর পুরোদমে বাগানের কাজ শুরু করি। এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি, এ বছরও খরচ বাদে বাগান থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা লাভ করতে পারবো। আমার এই বরই সম্পূর্ণ বিষমুক্ত।’
এখন তার দেখাদেখি এই গ্রামের অনেক বেকার যুবক বরই চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন। এই এলাকার বাসিন্দা ফয়সাল ইসলাম বলেন, ‘হোসেনের বরই চাষ দেথে আমিও এবার ৩২ শতাংশ জমিতে বরই চাষ করি। আশা করি ভালো ফলন পাবো। দামও বেশি পাবো।’
হোসেনের চাচাতো ভাই মিরাজ বলেন, ‘হোসেনের এই বরই বিষমুক্ত ও সুস্বাদু। যাতে করে আমরা হাতের কাছে বিষমুক্ত ফল পাচ্ছি। তার মতো এলাকার অন্যরাও আগ্রহী হলে সমাজ থেকে বিষাক্ত ফল কমানো সম্ভব হবে।’
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মেহেদি হাসান বলেন, কৃষি অফিস থেকে বরই চাষি হোসেনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আরও কেউ আগ্রহী হলে লালমোহন উপজেলা কৃষি অফিস সব সময় তাদের পাশে থাকবে।
বন্ধুর দেওয়া ৫ জোড়া উপহার দিয়ে শুরু, রুবেলের খামারে এখন ১শ জোড়া কবুতর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।