অর্থনতি ডেস্ক : বাংলাদেশে উন্নয়ন যেমন বেড়েছে, তেমনি বাংলাদেশে আবর্জনাও বেড়েছে। এসব আবর্জনা অনুন্নত দেশগুলোর জন্য অভিশাপ হলেও উন্নত দেশগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে আবর্জনাকে প্রক্রিয়াজাত করে থাকে। এরই মধ্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গে বন্ধুরাষ্ট্র জাপানের কাছে সহায়তা চেয়েছিলো বাংলাদেশ। জাপানও এ বিষয়ে নারাজ করেনি বাংলাদেশকে। প্রযুক্তি দেখার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রদূত নাওকি।।
এছাড়া সিঙ্গাপুর-হংকংয়ের আদলে আধুনিক নগরায়ন গড়তে বাংলাদেশকে সকল প্রকার সহযোগীতা করতে প্রস্তুত রয়েছে বন্ধুরাষ্ট্র জাপান। একইসাথে নগরবাসীকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে বাংলাদেশকে আধুনিক প্রযুক্তি দেবে দেশটি।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) মো. তাজুল ইসলামের সাথে এ প্রসঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি’র সাথে বৈঠক করেছে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জাপানের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছিলো। তারা আমাদের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, সরকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। জাপান এই বিষয়ে তাদের প্রযুক্তি দেখার জন্য বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, নিষ্কাশন ব্যবস্থাটি ঢাকায় বিকাশিত হওয়া উচিত এবং আমরা জাপানের সাথে একযোগে কাজ করব।
এদিকে জাপানের সহায়তায় আগামী জানুয়ারিতে গ্রাম-শহর পরিচ্ছন্ন প্রকল্প শুরু হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানুয়ারিতে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।’
প্রসঙ্গত, মাতারবাড়ী ও মহেশখালী প্রকল্পে ইতিমধ্যে জাপান বিনিয়োগ করেছে। পাশাপাশি নর্দমা ব্যবস্থা, নগর প্রশাসন ও জল ব্যবস্থাপনাতেও তাদের বিনিয়োগ রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।