আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বসনিয়া ও স্রেব্রেনিকা গণহত্যায় নিহত আরো ১৯ জনের দেহাবশেষ দাফনের জন্য পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুলাই) ভয়াবহ গণহত্যার ২৬তম বার্ষিকীর দুই দিন আগে পটোকারি কবরস্থানে তা দাফন করা হয়। নিহতদের বিদায় জানাতে রাজধানী সারাজেভো ও পাশ্ববর্তী ভিসোকো শহরে অনেক মানুষ জড় হয়।
প্রতি বছর ১১ জুলাই গণহত্যায় নিহতদের সংগৃহীত দেহাবশেষ দাফন করা হয়। স্রেব্রেনিকার পটোকারি গ্রামে নতুন সংগৃহীত দেহাবশেষ দাফন করা হবে। সারাজেভো শহরের ভোগোস্কার এলাকায় একটি ট্রাকে করে মরদেহগুলো কবরস্থানে নেওয়া হয়। বসনোয়া ও হার্জেগোভিনার বিশাল পতাকায় মোড়ানো ছিল কফিনগুলো। ১৯৯২ ও ১৯৯৫ সালে বসোনিয়া গণহত্যায় নিহতদের স্মৃতিসৌধের সামনে তা আনা হয়।
১৯৯৫ সালের ১১ জুলাই বসনিয়ায় সার্ব সেনাবাহিনী স্রেব্রেনিকার আট হাজারের বেশি মুসলিম পুরুষকে হত্যা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটি ছিল ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ।
বসনিয়া, সার্বিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার গণহত্যায় ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫-এর মধ্যে লক্ষাধিক মানুষ জীবন হারায় এবং ২.২ মিলিয়ন লোক বিভিন্ন দেশে শরণার্থী হয়। সাবেক যুগোস্লাভিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটিওয়াই) এটাকে গণহত্যা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বসনিয়ায় সার্ব বাহিনী ১৯৯৫ সালের এই দিনে মুসলিম পুরুষদের পরিবার থেকে পৃথক করে হত্যার জন্য অন্য স্থানে নিয়ে যায়। অনেকে বন-জঙ্গলে পালিয়ে গেলেও তাদের গ্রেপ্তার করে হত্যা করা হয়। নিহতদের মৃতদেহ গণকবরে দাফনের কথা বলে বড় বড় ট্রাকে করে লাশ গোপন করা হয়েছিল। পরবর্তীকালে দেখা যায়, আট হাজারের বেশি লোক এ গণহত্যায় প্রাণ হারিয়েছে।
পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন রাতকো ম্লাদিচের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। আজ পর্যন্ত প্রায় ছয় হাজার ৮৮০ জনের মৃতদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। ছয় হাজার ৬৪৩ জনকে পটোকারি এলাকার শহীদদের কবরস্থানে দাফন করা হয়। আজও বহু নারী নিজের প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়ায় স্রেব্রেনিচার আনাচা-কানাচে।
সূত্র : ডেইলি সাবাহ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।