Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বহির্শূন্য থেকে পৃথিবীর রূপ: বিজ্ঞানীর চোখে মহাকাশের সৌন্দর্য
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    বহির্শূন্য থেকে পৃথিবীর রূপ: বিজ্ঞানীর চোখে মহাকাশের সৌন্দর্য

    Yousuf ParvezDecember 26, 20245 Mins Read
    Advertisement

    ১৯৪৮ সালে সোভিয়েত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইউ.লিপ্‌স্কি আবিষ্কার করেন যে চাঁদে আবহমণ্ডল বর্তমান। তাঁর হিসেবে, পৃথিবীর আবহমণ্ডলের চেয়ে এটা প্রায় দুই হাজার গুণ অনিবিড়। অত্যন্ত সূক্ষ্ম যন্ত্রপাতির সাহায্যে এমন কি এত বিচ্ছুরিত গ্যাসও ধরা সম্ভব।

    চাঁদের তাপমাত্রা

    কিন্তু চাঁদে গ্যাসের আস্তানা কোথায়? এক গেলাস পানিতে কয়েক বিন্দু পারা (পারদ) ফেললে পারাগুলো সঙ্গে সঙ্গে গেলাসের তলায় চলে যাবে, কেননা পারা পানির চেয়ে ভারি। গ্যাসগুলোরও যাওয়ার কথা চাঁদের সবচেয়ে নিচু ভাগে অর্থাৎ খাদ আর আগ্নেয়গিরির মুখবিবরে। ক্যাপ্টেন বের করলেন যে গভীর ফাটলগুলোতে সত্যি সত্যি গ্যাস আছে।

    প্রতিদিন পৃথিবীতে পাঠানো টেলিগ্রামের একটিতে খবরটা দেওয়া হল। শেষ হয়ে আসছে চাঁদের দিন। অস্তাচলে চলেছে সূর্য। বাঁকা হয়ে পড়ছে সূর্যরশ্মি, আগেকার মতো আর তাপ জোগায় না। উপত্যকা আর খাদে অন্ধকার হয়ে আসছে, কিন্তু পাহাড়চূড়াগুলো এখনো সূর্যালোকে দীপ্ত।

    আকাশে আলম্ব পৃথিবীর কাস্তেটা আকারে বাড়ছে, দীপ্তিটা প্রখরতর। ক্ষুদে ট্যাঙ্কটা চেপে চাঁদের অনেকখানি ঘুরে বেরিয়েছি। ট্যাঙ্কটা নিশ্ছিদ্র, ভেতরে থেকে মহাশূন্যচারীদের পোষাক বের করে নিই।

    প্রাণহীন বিষণ্ণ গম্ভীর একটা জগৎ। অত্যন্ত অনিবিড় আবহমণ্ডলে শব্দ নেই, সবকিছ নিস্তব্ধ, মৃত। ঘোরার সময়ে রেডিও না থাকলে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলা হতো না। কিন্তু যতদূর পর্যন্ত দৃষ্টিটা শুধু ততদূর রেডিও কাজ করে, কেননা চাঁদকে ঘিরে কোনো আয়নলোক নেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মতো যেখানে রেডিও-তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে পৃথিবীতে, খুশিমতো ধরার জন্য।

    চাঁদের কাছাকাছি রঙবেরঙের মেঘ নেই—সূর্যোদয়ে গোলাপি বেগুনি, সূর্যাস্তে ঘোর লাল মেঘ নেই। পানি নেই, তাই নেই সবুজ ঘাস আর গাছপালা। বায়ুমণ্ডল নেই বলে দুটো মাত্র রঙের প্রাধান্য—কালো আর কটকটে সাদা। রোদে সবকিছু ঝকঝক করে, ছায়াগুলো মিশমিশে কালো।

    আর চাঁদের সূর্যালোকিত দিকটায় কী গরম! আমাদের রকেটযানের খোল তাপ পরিবাহিত করে না বলে ক্যাবিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক, কিন্তু বাইরে গেলে কাঠ ফাটা রোদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রকাণ্ড ছাতা নিতে হয় সঙ্গে। পৃথিবীতে এমন ছাতা নিয়ে বেশি দূর যাওয়া চলে না, প্রথম দমকা হাওয়ায় হাত থেকে এক ঝটকায় পড়ে যাবে।

    চাঁদের অগোচর দিকে লোক থাকলে একটা জিনিস নিয়ে তাদের অনুশোচনার অন্ত থাকত না। অগণিত নক্ষত্রখচিত কালো আকাশের গায়ে মৃদু নীলাভ আলোয় উজ্জ্বল পূর্ণপৃথিবীর সেই অপরূপ দৃশ্য তারা কখনো দেখেনি।

    কল্পবিজ্ঞানের নানা কাহিনীতে বহির্শূন্য থেকে পৃথিবীকে কেমন দেখাবে তার ছবিতে আছে মহাদেশ ও মহাসাগর, গ্লোবে যেমনভাবে আঁকা হয় ঠিক তেমনিভাবে। কিন্তু স্বচক্ষে দেখলাম ছবিগুলো ঠিক নয়। বহির্শূন্য থেকে পৃথিবীকে দেখায় উজ্জল নীলাভ একটা চাকতির মতো, মহাদেশ ও মহাসাগর চোখে পড়ে না।

    জ্যোতির্বিজ্ঞানী বললেন এর কারণ এই যে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল অত্যন্ত নিবিড় ও ঘন, তাতে আছে মেঘ আর অগণিত ধূলিকণা। পৃথিবীর বুক থেকে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মির অন্তরায় এটা, তাই বহিশূন্য থেকে মহাদেশ বা মহাসাগর দেখা যায় না।

    চাঁদে কিন্তু অত্যন্ত অনিবিড় আবহমণ্ডলে বলতে গেলে কোনো প্রতিরোধ নেই। তাই হাঁটা বা লাফানোর সময়ে ছাতাটা কোনো অসুবিধের সৃষ্টি করে না। চাঁদের মাটি দিনের বেলায় সেন্টিগ্রেডের একশ ডিগ্রি পর্যন্ত গরম হয়ে ওঠে, আমাদের তাপ-অপরিবাহী সোলসমেত জুতা পরতে হত। দিনের বেলায় চাঁদের বুকে বেড়াতে হলে আগে থেকে সবকিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।

    সূর্য অতি মন্থর গতিতে, যেন পা টিপে টিপে নেমে এল দিগন্তে। অস্তাচলে রইল ঘণ্টা কয়েক। সমভূমিতে নামল অন্ধকার, কিন্তু অনেকক্ষণ পর্যন্ত দূর পাহাড়গুলোর চূড়া আলোয় ঝকঝকে হয়ে রইল। সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের চেয়েও বেশি তাদের জৌলুস। অবশেষে তাদের আলোও মিলিয়ে গেল। তাপমাত্রা নামতে নামতে পৌঁছল শূন্যাঙ্কের ১৫০ ডিগ্রি নিচে। আমাদের রকেট শক্তিশালী হিটারে তপ্ত, বাইরে যেতে হলে সঙ্গে সঙ্গে মহাশূন্যচারীর পোষাকের ভেতরকার হিটার চালিয়ে দিতে হতো, না হলে প্রচণ্ড ঠান্ডায় মৃত্যু হতো অবিলম্বে।

    এক একটা ঘণ্টা কাটছে আর পৃথিবীর কাস্তে ক্রমশ বড় হয়ে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ একটা বৃত্তে পরিণত হলো। ‘পূর্ণপৃথিবীর’ সময় উপস্থিত। পূর্ণপৃথিবী পূর্ণচন্দ্রের চেয়ে ৮০ গুণ উজ্জ্বল। এত উজ্জ্বল যে পৃথিবী আলোকিত চাঁদের বুকে অনেক দীর্ঘ সফর আমরা চালালাম; শৈত্যের ভয় আমাদের ছিল না।

    চাঁদের আকাশে পৃথিবীকে ভালো করে দেখে সহজে বুঝলাম চাঁদের চেহারা কেন বদলে যায়, বুঝলাম তথাকথিত চন্দ্রকলা ব্যাপারটা কেন হয়। পৃথিবীর দিকে ফেরানো চাঁদের মুখ যখন সূর্যালোকিত নয় তখন বলা হয় অমাবস্যার চাঁদ। এ সময়ে প্রতিফলিত সূর্যরশ্মি পাঠায় না বলে চাঁদ আমাদের অগোচর থাকে। তারপর একটা কিনারা ক্রমশ আলো হয়ে ওঠে সূর্যের রশ্মিতে, আকাশে দেখি সরু একটা কাস্তে।

    সূর্যের দিকে মুখ ঘুরোয় চাঁদ, কাস্তেটা ক্রমশ বাড়ে। চাঁদের যে দিকটার অর্ধেকটা আমরা দেখি সেটা সূর্যালোকিত, আমরা বলি চাঁদের প্রথম পাদ। অবশেষে চাঁদের সব মুখটা আলো হয়ে ওঠে, দর্শন দেয় পূর্ণচন্দ্র। এরপর ক্রমশ সূর্যের দিক থেকে সরে যায় চাঁদের মুখ, তখন আবার নজরে পড়ে তার অর্ধেকটা—শেষ পাদ। তারপর একেবারে অদৃশ্য হয় চাঁদ—তখন আমাদের অগোচর গোলার্ধে সূর্যের আলো। পৃথিবীর লোকের কাছে তখন আবার অমাবস্যা। গোটা একটা চন্দ্র মাস অতিবাহিত, পরের মাসে আবার পুনরাবৃত্তি।

    চাঁদ থেকে দেখা পৃথিবীকলা চন্দ্রকলার ঠিক উল্টো। পৃথিবীতে যখন পূর্ণচন্দ্র তখন চাঁদে পৃথিবীর অমাবস্যা আর পৃথিবীতে যখন চাঁদের অমাবস্যা তখন চাঁদে পৃথিবীর শুক্লপক্ষ। চাঁদের রাতের অর্ধেকটা অতিবাহিত হলে পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তনের তোড়জোড় শুরু করল মহাশূন্যপোতের কর্মীরা। রকেটে আনা হল জ্বালানি, ফিরতি পথে অদরকারী জিনিসপত্র রাখা হল অটোরকেটে।

    পৃথিবী ছাড়ার চেয়ে চাঁদ থেকে ছাড়াটা রকেটের পক্ষে অনেক সহজ। পৃথিবীতে যা ওজন তার ৬ গুণ কম এখন রকেটটার, তাই চাঁদ ছেড়ে বহির্শূন্যে পৌঁছতে সেকেন্ডে ২.৪ কিলোমিটার মাত্র বেগ দরকার।

    সেকেন্ডে দুই কিলোমিটার বেগে যে কামান থেকে গোলা বেরোয় সে কামান চাঁদে কাজ দেবে না একেবারে। গোলাটা চাঁদে না ফিরে চাঁদের উপগ্রহে পরিণত হয়ে ঘুরপাক খাবে। উত্তরণের মুহূর্ত এসে পড়ল। প্রধান ক্যাবিনে সবাই গিয়ে বসেছি, ক্যাপ্টেন পৃথিবীতে তখন একটা রেডিও-টেলিগ্রাম পাঠাচ্ছেন।

    বিস্ফোরণের ধাক্কায় কেঁপে কেঁপে উঠছে রকেটের খোল, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে চাঁদের অন্ধকার সমভূমি অনেক পেছনে ফেলে এলাম। আসি তাহলে, চাঁদমামা! আবার আসব, তোমার ধূলোভরা সমভূমিতে ঘুরব, উঠব তোমার সব পাহাড়ে, নামব তোমার সবচেয়ে গভীর খাদে। কিন্তু এখন আমরা ঘরমুখো। প্রতি ঘণ্টায় আকারে বেড়ে চলল পৃথিবী কিন্তু সেই সঙ্গে কমতে লাগল তার দীপ্তি।

    অবশেষে পৃথিবীর প্রকাণ্ড আয়তনে ঢাকা পড়ল সম্পূর্ণ আকাশ। রকেটের বেগ এর মধ্যে কমানো হয়েছে, তবু এখনো বড্ড বেশি। এত বেগে পৃথিবীতে নামা চলবে না। পৃথিবীতে অবশ্য অদ্ভুত একটা ব্রেক আছে—ঘন বায়ুমণ্ডল—যেটা নেই চাঁদে।

    বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধ্বস্তরে ঢুকল আন্তঃগ্রহ রকেটযান। নামতে লাগল আড়াআড়িভাবে, বায়ুমণ্ডলের প্রতিরোধ শক্তিশালী ব্রেকের মতো কাজ করাতে উচ্চতা হ্রাস হতে লাগল আস্তে আস্তে। যত নিচে নামি তত ঘন বায়ুমণ্ডল, রকেটের বেগ অনেক কমে গেল। সাধারণ বিমানের বেগে যখন এসে পড়ল তখন আমাদের ক্যাপ্টেন কুইবিশেভ সাগরের দিকে রকেটযানকে চালিয়ে সাগরের ঠিক মধ্যখানে নামালেন, প্রকাণ্ড একটা বড়শির টোপের মতো দুলতে লাগল সেটা ঢেউয়ের ওপর।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    চাঁদ
    Related Posts
    নতুন পিসি গেম রিভিউ

    নতুন পিসি গেম রিভিউ:গেমিং অভিজ্ঞতা উন্নত করুন!

    August 7, 2025
    গোপনে ফোন ট্র্যাকিং বন্ধ করার নিয়ম

    গোপনে ফোন ট্র্যাকিং বন্ধ করার নিয়ম: গোপনীয়তা ফিরে পাবেন কিভাবে

    August 7, 2025
    GDL GigaX Y30

    কম দামে স্মার্টফোন চান? বাজারে এলো GDL GigaX Y30

    August 7, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Mercedes-Maybach Luxury Innovations

    Mercedes-Maybach Luxury Innovations:Leading the Ultra-Premium Automotive Industry

    বুড়ো-জামাই-

    অল্প বয়সী মেয়েরা কেন বয়স্ক পুরুষের প্রেমে পড়ে

    Web Series

    নেট দুনিয়া কাঁপাচ্ছে সেরা ওয়েব সিরিজ, একা দেখুন!

    Gazipu

    সাংবাদিককে টেনেহিঁচড়ে পেটালো দুর্বৃত্তরা, ইট দিয়ে থেঁতলে জখম

    DR Yunus

    সংস্কার কমিশনের ১২১ সুপারিশের ১৬টি বাস্তবায়ন করা হয়েছে

    Florida Officials Warn of Rising Child Hospitalizations from Raw Milk

    Florida Officials Warn of Rising Child Hospitalizations from Raw Milk

    when is the ballon d'or 2025

    Ballon d’Or 2025 Awards Ceremony Date Confirmed: Here’s When and Where It Will Be Held

    অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং শুরু

    অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং শুরু: আয়ের নতুন দুয়ার!

    TheGoddessBoys: Digital Stage Alchemists Crafting Viral Magic

    TheGoddessBoys: Digital Stage Alchemists Crafting Viral Magic

    special forces world's toughest test

    Special Forces: World’s Toughest Test Season 4 Unleashes Brutal New Challenges with Star-Studded Cast in Morocco

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.