জুমবাংলা ডেস্ক: বহুমুখী চাপে পড়েছে ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। অন্যতম শীর্ষ নেতা মামুনুল হককে আসামি করে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অন্তত চারটি মামলা হয়েছে৷ খবর ডয়চে ভেলের।
এসব মামলায় শীর্ষ নেতাদের আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি হেফাজতের পক্ষে সোচ্চার থাকা ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী বলেন, মামলা-গ্রেফতার সবই আন্দোলনের অংশ। এগুলোতে হেফাজত ভয় পায় না। হেফাজতের একটা গণভিত্তি তৈরি হয়েছে। সেই গণভিত্তিকে সরকার ভয় পায়। এ কারণে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেফাজত নেতাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। শিশু বক্তা বলে পরিচিত রফিকুল ইমলাম মাদানী সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চকন্ঠে কথা বলেন। তিনি এমন কোন নেতা নন যে, তিনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারেন। সরকার তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে একটি ভবিষ্যতকে নষ্ট করে দিয়েছে।
গত ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বায়তুল মোকাররমে আন্দোলন ও সহিংসতার ঘটনায় হেফাজত নেতা মামুনুল হকসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি সোনারগাঁওয়ে রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দু’টি মামলা হয়েছে। এই মামলায় মামুনুল হককে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে বুধবার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এই খবরে মোহাম্মদপুরে মামুনুল হকের মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নেন ছাত্ররা। যদিও সরকারের কোন সংস্থা তাকে গ্রেফতার করেনি।
হেফাজত নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কাউকে গ্রেফতার করতে গেলে সহিংসতার আশঙ্কা থাকলে বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হয়। আমরা মামলার তদন্ত করছি। কৌশলগতভাবে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।
এদিকে গ্রেফতারের খবরের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার ফেসবুক লাইভে আসেন।