জুমবাংলা ডেস্ক : কসাইয়ের হাতে দড়ি। কিছুক্ষণের মধ্যেই শোয়ানো হবে। তারপর চারটি পা একত্রে বেঁধে গলায় চালানো হবে ধারালো ছুরি। চামড়া ছাড়ানো হলেই দোকানে শোভা পাবে টাটকা মাংশ। কিন্তু কসাইয়ের সাজানো মঞ্চের ধারাবাহিক এই ঘটনাবলী হঠাৎ অন্যভাবে ঘটতে শুরু করলো।
কসাইয়ের হাত থেকে দড়ি ছুটে বেরিয়ে গেলো কালো উল্কার মতো মহিষটি। প্রাণভয়ে ছুটতে শুরু করলো বাজারের মধ্য দিয়ে। তার গতির সাথে পাল্লা দিয়ে রাস্তার দুপাশ থেকে ছিটকে সরে গিয়ে প্রাণ বাঁচাচ্ছেন বাজারিরা। তবুও কেউ কেউ নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না।
উল্কার বেগের কাছে পরাজিত হয়ে আহত হলেন অন্তত ১০ জন। তবে নিজেকে পুরোপুরি বাঁচাতে পারলেন না সানোয়ার হোসেন (৭৫) নামের এক ব্যক্তি। বয়সই হয়তো বেঈমানী করে বসেছে। মহিষটি যখন উল্কার বেগে তার দিকে ধেয়ে আসছিল, তখন নিজেকে বাঁচানোর সবরকম চেষ্টাই করেন তিনি। কিন্তু বাঁচাতে আর পারলেন কই!
মারাত্মকভাবে আহত হন সানোয়ার হোসেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেন। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হলো না। চিকিৎসা দেবার আগেই না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রোববার ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায়। উপজেলার পৌর সদরে গরুর হাট এলাকায় রোববার সন্ধ্যায় মহিষটি ধ্বংসাত্মক এ আক্রমণ চালায়।
মহিষের আক্রমণে আহতদের মধ্যে মো. জুলহাস হোসেন (৪০) ও মো. মুকুল মিয়ার (৩৫) নাম জানা গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের নাম জানা সম্ভব হয়নি। আহতদের উদ্ধার করে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ইজারাদার ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ছফর আলী বুলু বলেন, ‘কোনো এক কসাই মহিষটি জবাইয়ের উদ্দেশ্যে বাজারে এনেছিলেন। কিন্তু তার হাত থেকে ছুটে পালায় মহিষটি। পালানোর সময় হাটের মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি হয়। সে সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। এদের মধ্যে সানোয়ার নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। সানোয়ার হোসেন উপজেলার জোরবাড়ীয়া উত্তরপাড়ার মৃত শামছুল হকের ছেলে।’
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রোববার রাত ৯টার দিকেও মহিষটিকে ধরতে ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মহিষটি ধরার জন্য ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।