জুমবাংলা ডেস্ক: দেশের উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার একজন আদর্শ কৃষক বেলাল হোসেন (৪০)। কৃষি ফসল উৎপাদন করেই চলে তার সংসার। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি রবি মৌসুমে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি আবাদ করেছেন লাল জাতের বাঁধাকপি। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, এ যেন এক রক্তিম ফুলের বাগান। কাছে এলেই চোখে পড়ে সারি সারি লাল বাঁধাকপি।
জানা যায়, প্রায় দেড় বিঘা জমিতে এবার লাল বাঁধাকপি চাষ করেছেন বেলাল হোসেন। স্বল্প সময়ে বাঁধাকপিতে ভরে গেছে পুরো খেত। লাল বাঁধাকপির খবর পেয়ে প্রতিদিনই লোকজন একনজর দেখতে ছুটে আসছেন।
জামিউল ইসলাম নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, ‘বেলাল কাকার লাল বাঁধাকপির খেত দেখে মুগ্ধ। এর আগে, কখনো এমন বাঁধাকপি দেখিনি। এর স্বাদ নিতে ৪০ টাকা দিয়ে একটি কপি কিনলাম।’
স্থানীয় কৃষক আবুল কালাম বলেন, ‘সুন্দর ও আকর্ষণীয় নতুন জাতের এই সবজি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছেন। আগামী বছর নিজেই দুই বিঘা জমিতে লাল রঙের বাঁধাকপি চাষ করবো।’
বেলাল হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় বাজারে প্রতি পিস বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করছি। এরই মধ্যে, ৪০ শতক জমি থেকে ১ লাখ টাকার বাঁধাকপি বিক্রি হয়েছে। বীজ, সার, শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ বাদে প্রায় লক্ষাধিক টাকা লাভ থাকবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘লাল বাঁধাকপির ঔষধি গুণ রয়েছে। খেতে সুস্বাদু ও দামও বেশ ভালো। কোনো কৃষক যদি লাল বাঁধাকপি চাষ করতে চান, তাহলে অবশ্যই তাদের সহযোগিতা করব।’
গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. বেলাল হোসেন বলেন, ‘লাল বাঁধাকপির মধ্যে ভিটামিন এ, সি, কে, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়ামসহ প্রচুর আয়রন রয়েছে। নতুন এই জাতের বাঁধাকপি চাষে কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।