জুমবাংলা ডেস্ক : নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ‘সার্কিট ব্রেকার’ কর্মসূচির আওতায় সিঙ্গাপুরে সব ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকলেও অন্যদের মতো বাংলাদেশি শ্রমিকরা সম্পূর্ণ বেতনসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা পাবেন।
বৃহস্পতিবার এক ফোনালাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে এ নিশ্চয়তা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়, সেদেশে বিনামূল্যে খাবার ও চিকিৎসা সুবিধাও পাচ্ছেন প্রবাসীকর্মীরা।
সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, নতুন করে আরও ২৮৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১০ জনে দাঁড়িয়েছে, যাদের মধ্যে অধিকাংশই অভিবাসী শ্রমিক।
তবে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি তা জানা যায়নি।
এর আগে গত দুইদিনে (মঙ্গল ও বুধবার) ১০২ জন বাংলাদেশির আক্রান্ত হওয়ার খবর দিয়েছিল সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রলায়।
এছাড়া আরও বেশকিছু সংখ্যক বাংলাদেশি কোয়ারেন্টিনে আছেন।
তাদের চিকিৎসাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধান সিঙ্গাপুর সরকারের পক্ষ করার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে প্রথম আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজন এখন সুস্থ। গুরুতর অসুস্থ অন্যজনের অবস্থারও উন্নতি হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী ৭ এপ্রিল ‘সার্কিট ব্রেকার’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন, যা শেষ হওয়ার কথা আগামী ৪ মে।
এই কর্মসূচির মানে হচ্ছে, ওই সময় পর্ন্ত সবাইকে ঘরে থাকতে হবে এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। জরুরি সেবা ছাড়া এ সময় সব ধরনের কাজকর্মও বন্ধ থাকবে। ঘরে-বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগমও নিষিদ্ধ এ সময়ে।
‘সার্কিট ব্রেকার’র এই সময়ে খাবারের দোকানগুলো খোলা থাকলেও সেখানে বসে খাওয়া যাবে না। খাবার ঘরে নিয়ে যেতে হবে।
নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে ৫ মে থেকে মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারবেন, এমনকি প্রিয়জনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও রেস্তোরাঁয় বসে খেতেও পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।