হয়তো এই বিষয়টা নিয়ে বিভিন্নভাবে বলা হয়েছে। কিন্তু আমি এতদিন বিক্ষিপ্তভাবে শুনেছি এবং দেখেছি। তাই আজ নিজে যখন ইতালিয়ান প্রফেসরের সঙ্গে কথা বললাম তখন মনে মনে একটু ভরসাই পেলাম। মনে হলো, বাংলাদেশের জন্য এটি মোটামুটি একটা সুখবরই। এতো বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
কিছুক্ষণ আগে ইতালির ইউনিউভার্সিটি অব বলোনিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব মেডিক্যাল অ্যান্ড সার্জিকেল সায়েন্সেজের প্রফেসর ড. মারিনা টাডোলিনির সঙ্গে ভিডিওকলে কথা হলো প্রায় ৪৫ মিনিট। এই চিকিৎসক ফ্রন্টলাইনে থেকে করোনা-ভাইরাস মোকাবিলায় লড়াই করে যাচ্ছেন।
কথাপ্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের জন্য বেশকিছু দিকনির্দেশনা প্রদানসহ ইতিবাচক কিছু তথ্য উপস্থাপন করেছেন। তিনি মনে করছেন, গ্রীষ্মকালীন দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থা হয়তো ইতালি বা ইউরোপের মতো ভয়াবহ হবে না। বাংলাদেশে গরমের কারণে ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কম হবে বলে মনে করেন তিনি। ১০-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই ভাইরাস তুলনামূলক বেশি ছড়ায় বলে মনে করেন ড. মারিনা।
আর তরুণপ্রজন্মের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা যেমন কম থাকবে তেমনি কম থাকবে মৃত্যুর হারও। আর কোনো রকমের লক্ষণ ছাড়াই করোনা শরীরে থাকতে পারে দিনের পর দিন। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে তিনি এমনটা দেখেছেন।
পিপিই’র বিষয়ে তিনি বলেছেন, ১ মিটারের বেশি দূরত্বে থাকলে পিপিই ছাড়াই আক্রান্ত রোগীর সিম্পটমেটিক চিকিৎসা সম্ভব।
তরুণ রোগীদের জন্য হয়তো কোনো প্রকার ওষুধেরও দরকার নেই। প্রয়োজনে এজিথ্রোমাইসিন ব্যবহার করা যেতে পারে। করোনা মোকাবিলায় যথারীতি শারীরিক যোগাযোগ অবশ্যই এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন ড. মারিনা।
ঘরের বাইরে থেকে কোনো জিনিস ধরলেই, যেমন বাজারসদাই ইত্যাদি ধরার পর অবশ্যই হাত ধুতে হবে খুব ভালোভাবে। এমনকি কাঁচা শাকসবজি-ফলমূলও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে বলেছেন তিনি।
লেখক:মাহমুদ মনি, জার্মান প্রবাসী সাংবাদিক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।