স্পোর্টস ডেস্ক: চলতি অ্যাশেজের তৃতীয় টেস্টে মেলবোর্নে ইনিংস ও ১৪ রানের ব্যবধানে লজ্জার হার বরণ করেছে সফরকারী ইংল্যান্ড। এর মাধ্যমে প্রথম তিন টেস্ট হেরে অ্যাশেজ সিরিজ হাতছাড়া করেছেন রুটরা। সিরিজ হারার সঙ্গে সঙ্গে একটি লজ্জার রেকর্ডও নাম উঠেছে জো রুটের দলের। এক পঞ্জিকাবর্ষে সাদা পোশাকে সবচেয়ে বেশি পরাজয়ের রেকর্ডে টেস্ট ক্রিকেটের আঁতুরঘর ইংল্যান্ড এখন বাংলাদেশের পাশে! খালেদ মাহমুদ সুজনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ এই রেকর্ড গড়েছিল ১৮ বছর আগে, ২০০৩ সালে।
বাংলাদেশের টেস্ট মর্যাদার ২১ বছর হয়ে গেলেও এখনও এই ফরম্যাটে তারা নড়বড়ে দল। ২০০৩ সালে ৯টা টেস্ট খেলে একটাও টেস্ট জিততে পারেনি বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষে দলগুলো ছিল শক্তিশালী। এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট হেরে বাংলাদেশ বছর শুরু করে। আফ্রিকার কাছে দুই টেস্টে হোয়াইটওয়াশ, এরপর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২ টেস্টে হোয়াইটওয়াশ। আগস্টে পাকিস্তান সফরে গিয়ে হেরেছে ৩ টেস্টেই। অক্টোবর-নভেম্বরে ইংল্যান্ডের কাছে দেশের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজে ধোলাই হয়ে ষোলকলা পূর্ণ হয়।
অন্যদিকে ২০২১ সালে এখন পর্যন্ত ১৫টি টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড। জিতেছে মাত্র ৪টি ম্যাচ! ইংল্যান্ডের মতো দলের ক্ষেত্রে যা অবিশ্বাস্যই বটে। ড্র হয়েছে ২টি। আর ৯টি টেস্টে তারা পরাজয় বরণ করেছে। এর মাঝে ভারতের বিপক্ষে আহমেদাবাদ ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ মেলবোর্ন টেস্টে জুটেছে ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় দিয়ে বছর শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কা সফরের পরই ভারত গিয়েও সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে জয় পায় জো রুটের দল। তখনও ইংলিশরা বুঝতে পারেনি তাদের সামনে যে কত কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। ভারত সফরে চার ম্যাচের সিরিজের পরের তিন ম্যাচেই হারের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের দুর্দিনের শুরু হয়।
ভারতের কাছে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের প্রায় তিন মাস পরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। লর্ডসে প্রথম ম্যাচ ড্র হলেও বার্মিংহামে দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে হেরে যায় ইংলিশরা। ঘরের মাঠে এই ব্যর্থতা অব্যহত থাকে ভারত সিরিজেও।
আগস্টে শুরু হয় ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। তবে চার ম্যাচ খেলা হয়ে তখন সিরিজ শেষ হয়েছে। বাকি একটি ম্যাচ আগে ২০২২ সালে। এই সিরিজেও দুইটি ম্যাচ হেরেছে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় পরাজয়টি ছিল ভারতের বিপক্ষে লিডসে ইনিংস ও ৭৬ রানে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।