জুমবাংলা ডেস্ক: ভারতের পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী ড. এস জয়শংকর আজ বলেছেন, এই অঞ্চলের ভূ-অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পরিবর্তনের জন্য ভারত আগামী বিশ বছরের জন্য বাংলাদেশ-ভারত যোগাযোগের ইস্যুটির ওপর সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে। খবর বাসসের।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে দেড় ঘন্টাব্যাপী এক বৈঠকের পর গণ-মাধ্যমকে দেয়া এক যৌথ ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
ড. জয়শংকর আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পার হয়েছে, এখন আর ৫০ বছর নয়, পরবর্তী ২০ বছরের কথা ভাবতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই- আসুন আমরা যোগাযোগের দিকে নজর দেই। আমি আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে যোগাযোগকে একটি বড় লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করি।’
ভারতীয় এই শীর্ষ কূটনৈতিক আরো বলেন, ঢাকা ও নয়া দিল্লী উভয়েরই টোকিও’র সাথে ‘খুব ভাল’ সম্পর্ক রয়েছে। আর এ জন্যই, তারা যোগাযোগের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতায় একটি স্টেকহোল্ড হিসেবে জাপানকে বেছে নেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেন।’
তিনি বলেন, ‘জাপান বঙ্গোপসাগর অঞ্চলে যোগাযোগ প্রকল্পগুলোতে জড়িত আছে। আমি আপনাদের বলতে পারি যে- এই অঞ্চলের গোটা ভূ-অর্থনৈতিক দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। বঙ্গোপসাগরকে অনেকটাই অন্যরকম দেখাবে।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠককালে আমরা আমাদের মাননীয় দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রী নরেন্দ্র মোদি’র নেতৃত্বে আমাদের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চলমান প্রচেষ্টা অব্যহত রাখার অঙ্গীকার করি।’
ড. মোমেন বলেন, এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে করোনা-১৯ সহযোগিতা, যোগাযোগ, বাণিজ্য, পানি, নিরাপত্তা, সীমান্ত ও লাইন্স অব ক্রেডিটসহ চলমান বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ও পারস্পারিক কল্যাণ সংরক্ষণের সম্ভাব্য উপায় বের করার উপর জোর দিয়েছি।’
২৬-২৭ মার্চে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত আসন্ন বাংলাদেশ সফরের এজেন্ডা ঠিক করতে জয়শংকর আজ সকালে এক দিনব্যাপী এই সফরে এসেছেন।
ব্রিফিংকালে মোমেন এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘অবশ্যই, চলতি মাসের শেষের দিকে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রস্তুতিই ছিল আমাদের আলোচনার প্রধান বিষয়।’
তিনি আরো বলেন, ঢাকা বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকী উদযাপনে মোদির অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তে অত্যন্ত সন্তুষ্ট। উৎসবটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির বছরেই হচ্ছে।’