বাংলালিংক সবার উপরে

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : দেশের তিন অপারেটরকে পেছনে ফেলে ঢাকাতেও ৪জি নেটওয়ার্কে এগিয়ে আছে বাংলালিংক। এর আগে সিলেটের এবং রাজশাহীতেও ৪জি নেটওয়ার্কে সেরা মোবাইল অপারেটর বিবেচিত হয়েছে বাংলালিংক। ডাটা সেবায় ওই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেধে দেয়া মানোত্তীর্ণ হতে পারেনি আর কোনো অপারেটরই।

রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এবং সংলগ্ন গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জে চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কে ডেটা সেবায় মোবাইল অপারেটর হিসেবে মান রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক।

ইন্টারনেটের ৭ এমবিপিএস ডাউনলোড গতির সর্বনিম্ন সীমা রেখা ছুঁতে পারেনি বাকি তিন অপারেটরের একটিও। এই সীমায় সর্বোচ্চ গ্রাহক নিয়ে এসএমপি হিসেবে খ্যাত গ্রামীণফোনের গতি ৬ দশমিক ৯৯ এমবিপিএস। রবি’র ৬.৪ এবং রাষ্ট্রায়ত্ব অপারেটর টেলিটকের মাত্র ২.৮০ এমবিপিএস।

ঢাকার ১৩ জেলা, ৩৯টি উপজেলা এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনসহ প্রায় এক হাজার ৩০৯ কিলোমিটার এলাকায় পরীক্ষা চালিয়ে এই নেটওয়ার্কের এই চিত্র তুলে ধরেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (বিটিআরসি)।

পরীমনির স্বামী রাজের সঙ্গী এবার মিথিলা

বুধবার গেলো বছরের ১৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে চালানো ড্রাইভ টেস্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করে ঢাকায় একমাত্র রাষ্ট্রায়াত্ব অপারটির কলসেটআপ ও কলড্রপ চিত্র শোচনীয়। মোট কলের ন্যূনতম গড়ে ৯৭ শতাংশ কল সংযোগে সফলতাকে আদর্শ মান ধরা হলেও টেলিটক এ ক্ষেত্রে ৯৬ দশমিব ৮০ শতাংশ কল সফল ভাবে সংযুক্ত করতে পারে। অর্থাৎ তাদের গড় কল ড্রপের হার ২.৫৯ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২১ জানুয়ারি দেশের ৩০০ উপজেলায় মোবাইল সেবার ভয়েস কল ও ডাটা সেবার মান যাচাইয়ে ছয় মাসব্যাপী ড্রাইভ টেস্টের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেছেন বিটিআরসির চেয়ার‌ম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। ওই সময় কার্যক্রম উদ্বোধনকালে বিটিআরসি চেয়ারম্যান আধুনিক প্রযুক্তি ও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে গ্রাহককে কোয়ালিটি অব সার্ভিস বা মানসম্মত সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি গ্রাহক স্বার্থের সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ না করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন তিনি।