আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিউ ইয়র্কের ব্যালট পেপারে ইংরেজির সঙ্গে চারটি ভাষা স্থান পেয়েছে। সেগুলো হলো- বাংলা, চীনা, স্প্যানিশ ও কোরিয়ান ভাষা। কিন্তু সেখানে ভারতীয় হিন্দি ভাষা স্থান পায়নি। ফলে বাংলা ভাষাকে নিজেদের হিসেবে দাবি করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
সোমবার (৪ নভেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাকে নিজেদের ভাষা হিসেবে দাবি করে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
দেখা যায়, ভারতীয় গণমাধ্যম দ্যা হিন্দু শিরোনাম করেছে ‘নিউ ইয়র্কের ব্যালট পেপারে একমাত্র ভারতীয় ভাষা বাংলা স্থান পেয়েছে’। আর দ্যা দ্য ইকোনমিক টাইমস শিরোনাম করেছে ‘শুধুমাত্র ভারতীয় একটি ভাষা নিউ ইয়র্কের ব্যালটে স্থান পেয়েছে’। কিন্তু সেটা হিন্দি নয়।
উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে, বাংলা হল বাংলাদেশের দাপ্তরিক, জাতীয় এবং সর্বাধিক কথ্য ভাষা। যেখানে ৯৮ শতাংশ বাংলাদেশি তাদের প্রথম ভাষা হিসাবে বাংলা ব্যবহার করে। কিন্তু বাংলা ভাষা ভারতে দ্বিতীয় বহুল প্রচলিত ভাষা।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বুকের তাজা রক্ত ঝরিয়েছিল ছাত্র-জনতা। এরই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম শেষে বাংলাকে শুধু রাষ্ট্রভাষার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিতই করেনি, বরং বাঙালির স্বাধীন সার্বভৌম দেশও অর্জন করেছে।
উল্লেখ, যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি ঠাঁই দেওয়া হয়েছে চারটি বিদেশি ভাষাকে, যার মধ্যে অন্যতম বাংলা। যুক্তরাষ্ট্রের মোট অভিবাসীর বড় একটি অংশ বাস করেন নিউইয়র্ক সিটিসহ স্টেটটির বিভিন্ন শহরে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, পুরো নিউইয়র্কে দুই শতাধিক ভাষায় কথা বলেন লোকজন। কিন্তু এতসব ভাষার মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে বাংলাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার অধিকার আইন, ১৯৬৫-এর আওতায় দুই বছর আগে একটি মামলা করা হয়েছিল নিউইয়র্কের আদালতে। পরে নিউইয়র্কের রাজ্য প্রশাসন ও মামলাকারী- দুই পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই
চার ভাষায় ব্যালট পেপার প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।