জুমবাংলা ডেস্ক: পরিবেশবাদী যুব সংগঠন গ্রীন ভয়েস বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে “পরিবেশ অলিম্পিয়াড, সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২জুন,২০২৩) সকাল ৯ টায় ময়মনসিং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনুষ্ঠিত পরিবেশ অলিম্পিয়াডে প্রায় ১০৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করেন। তন্মধ্যে সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ৬ টি বিভাগে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।
বিকেল ৪ টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও পরিবেশ অলিম্পিয়াড, সাহিত্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে। এতে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন গ্রীন ভয়েস কেন্দ্রীয় কমিটি উপদেষ্টা ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন। প্রধান আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক এবং গ্রীন ভয়েস বাকৃবি শাখার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বাকৃবি শাখা গ্রীন ভয়েস উপদেষ্টা ও ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আজহারুল ইসলাম, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোস্তাফিজার রহমান এবং , গ্রীন ভয়েস এর প্রধান সমন্বয়ক মোঃ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গ্রীন ভয়েস, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হাফসা তাসনিম।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিক নিয়ে গুগল করলে আমরা সবাই দেখতে পাবো কত রকমের সমস্যা। বিশেষ করে কৃষিতে প্লাষ্টিক এর প্রভাব অনেক বেশি বিপরীত মুখী। ২৭০ মিলিয়ন টন প্লাষ্টিক প্রতি বছর উদপাদন হচ্ছে। এই পলিথিন আমাদের মাটির উর্বরতা এবং কৃষির উন্নয়নে বাঁধাগ্রস্ত করছে। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক প্রতিরোধে ভাবার সময় এসেছে।
আলমগীর কবির বলেন, ২০০২ সালে পলিথিন আইন করে নিষিদ্ধ করা হলো কিন্তু পলিথিন এর বিকল্প আমরা তৈরি করতে পারিনি। পরিবেশ আজ চরম সংকট এর মুখে পরিবেশের সংকটজনক পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের সব পরিবেশ সচেতন ও পরিবেশ দরদি মানুষের ঐক্যবদ্ধ ও জোরালো প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমাদের সরকারের ৫ বছর -৮ বছর সহ বিভিন্ন যে সমস্ত পরিকল্পনা রয়েছে সে সমস্ত পরিকল্পনা সমূহে পরিবেশকে বিবেচনা করে করতে হবে। পরিবেশের যে কোনো ক্ষতি আমাদের কে মোকাবেলা করতে হবে কেননা আমাদের একটাই পৃথিবী।
প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ বলেন, পলিথিন ও প্লাষ্টিক রিসাইকেল,রিউস করার অভ্যাস তৈরি করতে হবে।
প্রফেসর ড. এ. কে. এম জাকির হোসেন বলেন, আমাদের এই ধরণীকে রক্ষা করতে হলে আমাদের কে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। সারাদেশে দূষণের কারণে ৩০ ভাগ মানুষ মৃত্য বরণ করে। শুধু মাত্র পানি দূষণের কারণে ৮.৫% মানুষ মৃত্য বরণ করেন। তিনি আরো বলেন একটি পলি ব্যাগ নষ্ট হতে ৯৪০ বছর লাগে। মাইক্রো প্লাষ্টিকর ফলে নানাবিদ রোগের সৃষ্ট হচ্ছে।
সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেন, প্রতিদিন হোক পরিবেশ দিবস। পরিবেশ এখন নানা মুখী সংকটে জর্জরিত। পৃথিবীর এক কোন রহিব আপন মনে এমন কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই সকলে মিলে আমাদের পরিবেশকে ঠিক রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।