জুমবাংলা ডেস্ক : বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে নবজাতক সোহানাকে চুরি ও হত্যার ঘটনায় শিশুটির বাবা সুজন খানকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ সুজনকে আদালতে সোপর্দ করলে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর বিচারক সমির মল্লিক এ আদেশ দেন। তবে পুলিশ সুজন খানের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলেও সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি আদালত।
এর আগে সুজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়। এছাড়াও হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে সুজনের ছোট ভাই রিপন খান (২৫) ও ভগ্নিপতি হাসিব শেখ (৩০) এর ডিএনএ টেস্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শিশু সোহানা হত্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবা সুজন খান, চাচা রিপন খান ও ফুফা হাসিব শেখকে হেফাজতে নেয় মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ।
এদিকে হত্যার পর থেকে এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক হতে পারেনি শিশুটির মা শান্তা আক্তার। সন্তান হত্যার সঙ্গে যদি নিজের স্বামীও জড়িত থাকে, তাহলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন সন্তান হারা মা শান্তা আক্তার।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত শেষে আমরা জড়িত সন্দেহে শিশুটির পিতা সুজন খানকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে আদালতে সোপর্দের প্রক্রিয়া চলছে। হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।’
উল্লেখ্য, রোববার (১৫ নভেম্বর) রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার গাবতলা গ্রামে বাবা সুজন খান ও মা শান্তা আক্তারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল ১৭ দিন বয়সী সোহানা। মধ্য রাতে ঘুম ভেঙে তারা দেখেন যে শিশুটি নেই। সোমবার (১৬ নভেম্বর) ভোর থেকে পুলিশের একাধিক টিম শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করে।
সোমবার রাতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা করেন শিশুটির দাদা আলী হোসেন খান। বুধবার (১৮ নভেম্বর) ভোরে নামাজের পর নিজ ঘরের সামনের পুকুরে নাতির মরদেহ ভাসতে দেখেন আলী হোসেন। পরে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।