জুমবাংলা ডেস্ক: ‘বাঘ এসেছে, বাঘ দেখা গেছে’ এমন আতঙ্কের পর অবশেষে একটি বনবিড়াল আটক করেছে এলাকাবাসী। খবর ইউএনবি’র।
রবিবার দুপুরে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শিবচন্ডি গ্রামের লোকজন বনবিড়ালটিকে আটক করে। সীমান্তবর্তী ওই চা বাগানে কর্মরত চা শ্রমিকরা মেছো বাঘ মনে করে এটিকে আটক করে।
খবর পেয়ে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে পঞ্চগড়ে নিয়ে আসেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তারা।
দেবনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মহসীন আলী জানান, সীমান্তবর্তী শিবচন্ডি গ্রামের চা বাগানে শ্রমিকরা কাজ করছিল। এসময় ওই প্রাণীটি দুজন চা শ্রমিককে তাড়া করে। তারা সেখান থেকে পালিয়ে এসে চা বাগানে কর্মরত অন্যান্য শ্রমিকদের বিষয়টি বললে সকল শ্রমিক মিলে ধাওয়া করে ওই প্রাণীটিকে আটক করে। পরে ওই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য ইছামুলের বাড়ির সামনে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়।
এসময় বাঘ দেখার জন্য শত শত উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় করে।
বনবিভাগকে খবর দেয়া হলে বনবিভাগের কর্মকর্তারা এসে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় নিয়ে আসেন, জানান তিনি।
চা বাগান শ্রমিক আলম বলেন, আমরা চা বাগানে কাজ করছি এমন সময় বাগানের ভেতর থেকে একটি বাঘ আমাদের ওপর আক্রমণ করতে আসে। এসময় আমরা ভয় পেয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে আসি। আমাদের অন্যান্য সহকর্মীদের খবর দেই। পরে সবাই মিলে মেছো বাঘটিকে ধাওয়া করে আটক করি।
তেঁতুলিয়া উপজেলা বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা শহিদুর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে প্রাণীটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাণীটির ছবি দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমানের কাছে পাঠানো হয়েছে এবং তার নির্দেশে পঞ্চগড় বন বিভাগের খাচায় এটিকে সংরক্ষণ করা হবে।
দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছি এটি মেছো বাঘ নয়, এটি বন বিড়াল। বন বিড়ালটিকে দিনাজপুর নিয়ে আসা হবে।’
উল্লেখ্য, এরআগে জেলার সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের মুহুরীজোত, সাহেবীজোত ও তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগর ইউনিয়নের উষা পাড়া ও বাদিয়াজোত এলাকার পরিত্যক্ত চা বাগান ও জঙ্গলে বাঘের আতঙ্ক বিরাজ করেছিল। পরে গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের কর্মকর্তারা স্থানীয়দের সহযোগিতায় চা বাগান ও জঙ্গল পরিষ্কার করলেও সেখানে কোনো বাঘের সন্ধান পাননি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।