রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে নয় বছরের রাজু। হঠাৎ এক ভদ্রলোকের পকেট থেকে মুঠোফোনটা খসে পড়ল মাটিতে। রাজু তড়িঘড়ি তুলে দিল। ভদ্রলোক খুশি হয়ে পঞ্চাশ টাকা পুরস্কার দিতে চাইতেই রাজু মাথা নেড়ে বলল, “না কাকা, মা বলেছেন পরের জিনিস ফেরত দিতে হয়। এটা তো আমার কর্তব্য।” একই শহরে, একই বয়সী ফাহিম স্কুলের সতীর্থের টিফিন বাক্স চুরি করে ফেলল শুধু ‘মজা’ করার জন্য। এই দুই শিশুর মধ্যে পার্থক্য শুধু আচরণে নয় — পার্থক্য বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষার ভিত্তিতে। আজকের বাংলাদেশে যেখানে সামাজিক অবক্ষয়, নৈতিক স্খলন আর অস্থিরতার ছায়া ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে, সেখানে এই সহজ প্রশ্নটিই সবচেয়ে জরুরি: বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা কেন অপরিহার্য?
বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা: প্রজন্মের ভিত শক্ত করার অপরিহার্য পাঠ
নৈতিকতা শুধু নিয়মকানুন নয়, এটি মানবিক সত্তার নির্মাণ। ড. মো. শফিকুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক, তাঁর গবেষণায় উল্লেখ করেন: “শৈশবে নৈতিক ভিত্তি গড়ে না উঠলে, কিশোর-কিশোরীরা পরিচয় সংকটে ভোগে। তারা সহিংসতা, মাদকাসক্তি বা অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে।” বাংলাদেশে বর্তমানে ১০-১৯ বছর বয়সী কিশোর অপরাধের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে — পুলিশ সদর দপ্তরের ২০২৩ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে কিশোর অপরাধ ৪২% বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পেছনে সরাসরি যোগসূত্র শৈশবের নৈতিক শিক্ষার ঘাটতি।
কেন এই শিক্ষা এতটাই জরুরি?
প্রথমত, নৈতিকতা মানবিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিপ্রস্তর। একটি শিশু যখন শেখে “ভালো-মন্দ”, “ন্যায়-অন্যায়”, “দায়িত্ব-কর্তব্য” — তখনই সে অন্যদের অনুভূতি বুঝতে, সম্মান করতে এবং সহমর্মিতা প্রকাশ করতে শেখে। ঢাকার মিরপুরে বসবাসরত সায়মা আক্তার, যিনি তার সাত বছরের ছেলেকে নৈতিক গল্প, দৈনন্দিন ঘটনার আলোচনা ও ধর্মীয় মূল্যবোধ শেখান, বলেন: “আমার ছেলে যখন স্কুলে নবম শ্রেণির এক প্রতিবন্ধী ছাত্রকে হুইলচেয়ারে ঠেলে ক্লাসে নিয়ে যায়, তখন আমি বুঝি — নৈতিক শিক্ষা শুধু কথা নয়, এটি জীবনদর্শন।”
দ্বিতীয়ত, দীর্ঘমেয়াদী সামাজিক স্থিতিশীলতার চাবিকাঠি। জাতিসংঘ শিশু তহবিল (UNICEF)-এর ২০২২ সালের “Moral Foundations in Early Childhood” শীর্ষক রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে: “যে সমাজ শৈশবেই নৈতিক শিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়, সেই সমাজে অপরাধ, দুর্নীতি ও সহিংসতার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম থাকে।” বাংলাদেশের মতো দ্রুত বদলাতে থাকা সমাজে, যেখানে ডিজিটাল প্রভাব ও পশ্চিমা সংস্কৃতির ঢেউ প্রবল, সেখানে নৈতিক ভিত্তি না থাকলে প্রজন্ম হারিয়ে যেতে পারে মূল্যবোধের অন্ধকারে।
বাস্তব জীবনে নৈতিক শিক্ষার অভাব: যে সংকট আমাদের গ্রাস করছে
চারপাশে তাকান — সংকটের লক্ষণগুলো স্পষ্ট। রাজধানীর একটি নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে নবম শ্রেণির ছাত্রী তানজিনার অভিযোগ: “ক্লাসে সবাই কপি করে, কেউ বলে না কিছু। শিক্ষকরাও চোখ বন্ধ রাখেন।” এটা শুধু একক ঘটনা নয়, এটি নৈতিক অবক্ষয়ের সুস্পষ্ট প্রতিচ্ছবি। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (BANBEIS)-এর সর্বশেষ জরিপে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য: মাধ্যমিক পর্যায়ের ৬৮% শিক্ষার্থী স্বীকার করেছে যে তারা পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করেছে। আরও ভয়াবহ হলো, ৪২% অভিভাবক মনে করেন এটি “সাময়িক সমস্যা” বা “টিকে থাকার কৌশল!
ডিজিটাল যুগ — নৈতিকতার নতুন চ্যালেঞ্জ
সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন গেমিং, এবং মুক্ত ইন্টারনেট অ্যাক্সেস শিশুদের নৈতিক বিকাশে নতুন ঝুঁকি তৈরি করেছে। চট্টগ্রামের একটি কেস স্টাডি: চৌদ্দ বছরের আরাফাত অনলাইনে এক সহপাঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ভাইরাল পোস্ট দেয় শুধু ‘লাইক’ পাবার জন্য। ঘটনাটি স্কুলে দাঙ্গার রূপ নেয়। মনোবিদ ড. তাহমিনা আক্তার ব্যাখ্যা করেন: “অদৃশ্যতার আবরণে ইন্টারনেট শিশুদের মধ্যে দায়িত্ববোধের অভাব তৈরি করে। তারা বুঝতেই পারে না যে তাদের ‘ভার্চুয়াল’ কাজের ‘রিয়েল’ জীবনে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে।”
অভিভাবকদের ভূমিকা: শূন্যস্থান নাকি অংশীদারিত্ব?
অনেক অভিভাবক মনে করেন “স্কুলেই তো নৈতিকতা শেখায়” বা “বাচ্চা বড় হলে নিজে থেকেই শিখে যাবে”। এটি মারাত্মক ভ্রান্তি। গবেষণা বলছে, শিশুর নৈতিক কম্পাস গঠনে ৭০% ভূমিকা পরিবারের, বিশেষ করে ৩-১০ বছর বয়সে। ঢাকার গুলশানে কর্মরত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফারহানা মান্নান বলেন: “আমি প্রতিদিন দেখি টিনএজারদের যারা ক্যারিয়ারে সফল কিন্তু মানসিকভাবে ধুঁকছে। কারণ, শৈশবে তারা শিখেনি কীভাবে ব্যর্থতাকে মেনে নিতে হয়, সম্মান করতে হয় বা সততা বজায় রাখতে হয়।”
নৈতিক শিক্ষার বীজ বপনের কৌশল: বাড়ি, স্কুল ও সমাজের সমন্বিত ভূমিকা
পরিবার: প্রথম পাঠশালা
১. গল্পের জাদু: রূপকথা, ঐতিহাসিক নায়কদের কাহিনী, প্যারাবল বা নৈতিক দ্বন্দ্বের গল্প শোনান। রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের গল্প, বা মজার ছলে “টুনটুনি ও বক রাজা” জাতীয় লোককথা শিশুদের বিবেক তৈরি করে।
২. দৈনন্দিক আলোচনা: খবরের কাগজে কোনো দুর্ঘটনা, স্কুলের কোনো ঘটনা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করুন — “তুমি হলে কী করতে?”
৩. রোল মডেল হওয়া: শিশু দেখে শেখে। আপনি যদি ট্যাক্স ফাঁকি দেন, রাস্তায় ময়লা ফেলেন, বা গৃহকর্মীর সাথে রূঢ় আচরণ করেন, তাহলে সে-ই অনুকরণ করবে।
স্কুল: দ্বিতীয় ঘর
১. পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি: শুধু ইসলাম শিক্ষা বা নৈতিক শিক্ষা বই নয়, বিজ্ঞান, সাহিত্য, এমনকি গণিত ক্লাসেও নৈতিক দিক উল্লেখ করা যায়। যেমন: পরিবেশ দূষণের গণিত সমস্যা সমাধান করলে পরিবেশ সুরক্ষার নৈতিক বার্তা যুক্ত হয়।
২. কার্যক্রমভিত্তিক শিখন: সমাজসেবা, বৃক্ষরোপণ, প্রতিবন্ধী সহপাঠীদের সহায়তা — হাতে-কলমে দায়িত্ববোধ শেখায়।
৩. শিক্ষক প্রশিক্ষণ: শিক্ষকদের নৈতিক সংকট মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। রাজশাহীর একটি স্কুলে ‘অনুসার’ নামক প্রোগ্রামে শিক্ষকরা শিখছেন কীভাবে কপি করা, বুলিং বা অসততার ঘটনা নৈতিক আলোচনায় রূপান্তরিত করতে হয়।
সমাজ: বৃহত্তর পরিসর
১. গণমাধ্যমের দায়: কার্টুন, শিশুতোষ অনুষ্ঠান বা ইউটিউব কন্টেন্টে নৈতিক বার্তা সমৃদ্ধ করতে হবে। “সিসিমপুর” এর মতো প্রোগ্রাম এ ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
২. ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা: মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা প্যাগোডায় শিশুদের জন্য সহজ, প্রাসঙ্গিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যেতে পারে।
৩. সরকারি নীতিমালা: জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০-এ নৈতিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও বাস্তবায়নে দুর্বলতা রয়েছে। এ বিষয়ে বাজেট বরাদ্দ, শিক্ষক নিয়োগ ও মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
প্রযুক্তির যুগে নৈতিকতা: ঝুঁকি মোকাবেলায় অভিভাবকদের গাইডলাইন
ডিজিটাল যুগে নৈতিক শিক্ষা দিতে গেলে প্রযুক্তিকেও সঙ্গী করতে হবে।
- সাইবার নৈতিকতা শেখান: অনলাইনে কারও ছবি শেয়ার করার আগে অনুমতি নেওয়া, মিথ্যা তথ্য না ছড়ানো, সাইবার বুলিং রোধ করা — এগুলো আজকের অপরিহার্য পাঠ।
- স্ক্রিন টাইমে গুণগত সময়: শুধু সময় সীমিত করলেই হবে না, বাচ্চার সাথে অনলাইন কন্টেন্ট নিয়ে আলোচনা করুন। “এই ভিডিওটিতে কেন এই চরিত্রটি ভুল করল? এর কী পরিণতি হতে পারে?”
- ডিজিটাল রোল মডেল: নিজে ফোনে ডুবে না থেকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় সত্যতা যাচাই করে পোস্ট করে — আপনার আচরণই শিশুর অনুকরণীয় উদাহরণ।
জেনে রাখুন
বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা শুরু করার সঠিক বয়স কোনটি?
উত্তর: নৈতিক শিক্ষার বীজ বপনের সেরা সময় ৩-৫ বছর বয়স। এই বয়সে শিশুরা ‘ভালো-মন্দ’ বোঝার ক্ষমতা বিকাশ শুরু করে। সহজ কথায় নীতিকথা (সত্য বলো, কারও জিনিস নিয়ো না), আদর্শ আচরণের প্রশংসা ও ভুলের স্বাভাবিক শাসন এ সময়েই কার্যকর। তবে কৈশোরে গিয়ে তা জটিল নৈতিক দ্বন্দ্বে (সততা বনাম লাভ, ব্যক্তিগত ইচ্ছা বনাম সামাজিক দায়) রূপ নেয়।
স্কুলে নৈতিকতা শেখার বিষয় থাকলেও কেন বাচ্চারা তা শিখছে না?
উত্তর: এর প্রধান কারণ তত্ত্ব ও প্রয়োগের ব্যবধান। অনেক স্কুলে নৈতিক শিক্ষা শুধু বইয়ের পাতায় বা পরীক্ষার নম্বরের জন্য। বাস্তবে শিক্ষকদের সময়াভাব, রুটিনের চাপ, বা নিজেদের প্রস্তুতির অভাব থাকে। দ্বিতীয়ত, স্কুলের পরিবেশ যদি অসততা (নকল, ভর্তি দুর্নীতি) বা অনৈতিক আচরণ (বুলিং, পক্ষপাত) দ্বারা প্রভাবিত হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা পাঠের চেয়ে পরিবেশ থেকে বেশি শেখে।
ছোট বাচ্চাকে নৈতিকতা শেখানোর সময় শাস্তি দেওয়া কি ঠিক?
উত্তর: শাস্তি নয়, শাসন ও স্বাভাবিক পরিণতির ধারণা দিতে হবে। শারীরিক শাস্তি বা কঠোর প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা ভয় সৃষ্টি করে, নৈতিক বোধ নয়। বরং ভুলের প্রাকৃতিক পরিণতি (খেলনা ভাঙলে আর নতুন না কেনা) বা যৌক্তিক পরিণতি (কাউকে কষ্ট দিলে ক্ষমা চেয়ে সান্ত্বনা দেওয়া) দেখিয়ে শেখান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ — ভুলের পর শিশুকে ভালোবাসা দিয়ে বুঝিয়ে বলুন, তাকে ‘খারাপ’ বলে লেবেল দেবেন না।
আধুনিক সমাজে ধর্মীয় শিক্ষা কি নৈতিকতার জন্য যথেষ্ট?
উত্তর: ধর্মীয় শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি প্রদান করে, কিন্তু একমাত্র উপায় নয়। আজকের বৈশ্বিক, বহুসংস্কৃতির সমাজে শিশুকে বিভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও দর্শনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া শিখতে হবে। নৈতিকতা সার্বজনীন — সততা, দয়া, ন্যায়পরায়ণতা সব ধর্ম ও মানবতাবাদেই মূল্যবান। তাই ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ, দর্শন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার সমন্বিত পাঠ দরকার।
কোন সংকেতে বুঝবেন শিশুর নৈতিক বিকাশ সঠিক হচ্ছে?
উত্তর: লক্ষণগুলি সূক্ষ্ম কিন্তু স্পষ্ট:
- দায়িত্ববোধ: নিজের কাজ (ঘর গোছানো, পড়া) নিজে করতে চাওয়া।
- সহমর্মিতা: অন্য কারও কষ্ট দেখে সাড়া দেওয়া (বন্ধু কাঁদলে সান্ত্বনা, অসুস্থ হলে খোঁজ নেওয়া)।
- সততা: নিজের ভুল স্বীকার করা, এমনকি শাস্তি এড়ানোর সুযোগ থাকলেও।
- ন্যায়বোধ: অন্যায় দেখে প্রতিবাদ করা বা তার জন্য মন খারাপ করা।
বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষা কোনও বিলাসিতা নয়, বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য অস্ত্র। এটি শুধু ‘ভালো মানুষ’ তৈরি করে না, এটি গড়ে তোলে দায়িত্বশীল নাগরিক, সংবেদনশীল পেশাজীবী, এবং মানবিক মূল্যবোধে বলীয়ান এক প্রজন্ম — যে প্রজন্ম বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে অন্ধকারের বদলে আলোর পথে। আজকের শিশুর হাতেই আগামীর বাংলাদেশের চাবি। আমরা যদি তাদের হাতে শুধু ডিগ্রি, সার্টিফিকেট আর প্রযুক্তির জ্ঞান তুলে দিই, কিন্তু বিবেক, সহমর্মিতা ও ন্যায়বোধের মশাল জ্বালাতে ভুলে যাই, তাহলে সেই আগামী হবে উজাড় করা বাগানের মতো — চকচকে কিন্তু প্রাণহীন। আপনার সন্তানকে শেখান শুধু জিতে নেওয়া নয়, জিতে নেওয়ার পথটাও যেন সত্যি আর সুন্দর হয়। শুরু করুন আজই — একটি গল্প বলুন, একটি ভালো কাজের প্রশংসা করুন, একটি ভুলকে শেখার সুযোগে পরিণত করুন। কারণ, নৈতিক ভিতই একমাত্র ভিত্তি যা কোনও ঝড়ে ভাঙে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।