সামনে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে যেন বাজার স্থিতিশীল থাকে এবং মূল্যের দাম না বাড়ে। এর অংশ হিসেবে চিনির শুল্ক কমানো হয়েছে। তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারে।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী 3% পর্যন্ত চিনির দাম কমেছে। বাজারে প্যাকেট চিনির সরবরাহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। টিসিপি কম দামে চিনি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সক্ষম হচ্ছে। রোজায় যেন সিন্ডিকেট কোন ঝামেলা করতেন না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
গত অক্টোবরে চিনির আমদানি শুল্ক কমিয়ে ৩০ থেকে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। এরপর থেকে খোলা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে আর প্যাকেটজাত ১২৫ টাকা। সরকারি লাল চিনির প্যাকেট ১৪০ টাকা কেজি। গত বছরের চেয়ে ১৪ শতাংশ কম।
দীর্ঘদিন পর ১৪০ টাকা কেজি দরে প্যাকেট চিনি বিক্রি করছে সুগার মিল করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, সরকারি মিলে চিনি উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩২ হাজার টন। রোজার আগেই রাজধানীতে খোলা ট্রাকে চিনি বিক্রির পরিকল্পনাও রয়েছে।
বিএসএফআইসির সচিব মো. আনোয়ার কবীর বলেন, ‘আমাদের নিচে যে বিক্রি হয়, ৫ দিন। আর এ মধ্যে দেখা যাক, আমরা চেষ্টা করছি যে ট্রাকে করে নিয়ে গিয়ে হয়ত আমরা বিভিন্ন স্পটে যেমন সচিবালয় বা অফিসার্স ক্লাব, এ রকম পজিশনেও হয়ত আমরা বিক্রির চেষ্টা করব, রমজানকে টার্গেট করে।’
এবার বাজারে চিনির সংকট দেখা যাক তেমন কোন সম্ভাবনা নাই এবং দাম বৃদ্ধি পাবে না বলে আশা করা হচ্ছে। তবে রমজানের শুরুতে যেন কোন কিছু না ঘটে সেজন্য নজরদারি দরকার। বিশেষ করে অসাধু ব্যবসায়ী সুবিধা গ্রহনের চেষ্টা করবে। যাদের ফ্যামিলি কার্ড রয়েছে তাদের ৭০ টাকা কেজি ধরে চিনি বিক্রি করছে টিসিবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।