জুমবাংলা ডেস্ক : রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাজারগুলো হঠাৎ করেই পেঁয়াজশূন্য হয়ে পড়েছে। খুচরা কিংবা পাইকারি বাজার কোথাও মিলছে না পেঁয়াজ। গত এক সপ্তাহ থেকে প্রশাসনের ভয়ে আড়তদারেরা পেঁয়াজ আনছে না। অন্যদিকে আড়তদারের কাছ থেকে পেঁয়াজ নিয়ে খুচরা বিক্রেতারাও বিক্রি করছেন না।
সোমবার সকালে তানোর বাজার ঘুরে কোথাও পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায়নি। তবে দুজন ব্যবসায়ীকে লুকিয়ে লুকিয়ে গোডাউনের ভেতর থেকে পেঁয়াজ বিক্রি করছে দেখা গেছে। তাও আবার ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। অনেকে জেলা শহরে থেকে পেঁয়াজ কিনে আনছে। তবে সাধারণ মানুষ বাজারে পেঁয়াজ কিনতে না পেরে পড়েছে বিপাকে।
অপরদিকে তানোর বাজারে পেঁয়াজ না থাকায় মুরগি বিক্রি কমে গেছে। তানোর থানা মোড়ের মুরগি ব্যবসায়ী এমদাদুল হক বলেন, বাজারে পেঁয়াজ না থাকায় গত এক সপ্তাহ থেকে মুরগি বিক্রি একেবারে কমে গেছে। প্রতিসপ্তাহে এক থেকে দুই চালান মুরগি বিক্রি হতো এখন মুরগি প্রায় বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে আগের মতো মুরগি বিক্রি না হওয়ায় মুরগির খাবারের খরচটা বেড়ে গেছে। মুরগিকে খাবার তো দিতে হবে। অনেক ব্যবসায়ী বাড়তি খাবারের খরচের কারণে এলাকাই মাইকিং করে কম দামে মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বিক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে পেঁয়াজ একেবারেই কম। প্রতিকেজি পেঁয়াজ পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রি করতে হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা দরে। গত এক সপ্তাহ আগে থেকে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত বাজারে এসে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রির নির্দেশ দিচ্ছেন। বাজারের অনেক ব্যবসায়ীর ৫ হাজার, ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। তাই ভয়ে কেউ পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না। পেঁয়াজের এমন সংকটে দিশেহারা ভোক্তারা। ভোক্তা অধিকার ও পুলিশের তৎপরতা দেখে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারেও অনেক খুচরা বিক্রেতা পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
তানোর বাজারের দোকানদার ওহাব আলী, সাজেদ আলী, মাজেদ, সুজনসহ অনেকে বলেন, বেশি দামে কিনে কিভাবে কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি করব। মোকামেতে দাম বেশি। তার অপরও প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আমাদের জরিমানা করছে। তাই পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। বরং পেঁয়াজ বাদ দিয়ে অন্য পণ্য বিক্রি করা ভালো। এতে ঝামেলামুক্ত থাকা যাচ্ছে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন বানু বলেন, পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের কালোবাজারি করার সুযোগ নেই। ব্যবসায়ীদের কাছে পেঁয়াজ আছে। তারা ইচ্ছে করে পেঁয়াজ বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছে। অতি মুনাফার জন্য জনগণকে জিম্মি করা চলবে না। অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তানোর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের ভয়ে বাজারের দোকানদাররা পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা বলব।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.