লাইফস্টাইল ডেস্ক: গরম থেকে রক্ষা পেতে এয়ার-কন্ডিশনারের (এসি) প্রয়োজনীয়তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এসি এখন আমাদের দৈনন্দিক জীবনের প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজারে এসির অনেক ধরন আছে। বিভিন্ন ধরন থেকে পছন্দসই ও প্রয়োজনীয় এসি বাছাই করতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। তাই এসি কেনার আগে কিছু বিষয় জেনে রাখা জরুরি।
বাজারে দুই ধরনের এসি আছে। যেমন ইনভার্টার এসি এবং ফিক্সড স্পিড এসি (নন-ইনভার্টার)। ইনভার্টার এসি কমপ্র্রেসরের স্পিড নিয়ন্ত্রণ করতে পারে; যা তাপমাত্রা সমন্বয় করে। তবে ইনভার্টার এসি নন-ইনভার্টার এসির চেয়ে ব্যয়বহুল। ইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়েও ভূমিকা রাখে।
এসির এ পাওয়ার যত বেশি ওয়াটের বিদ্যুৎ খরচও তত বেশি। ওয়াটের ভিত্তিতে এসির দামেও রয়েছে পার্থক্য। ১ টন ১ হাজার ১৭০ ওয়াটের ইনভার্টার এসির চেয়ে ১ টন ৬৯০ ওয়াটের ইনভার্টার এসির দাম তুলনামূলক বেশি। পারফরম্যান্স প্রায় একই হলেও ৬৯০ ওয়াটের এসির বিদ্যুৎ বিল কম আসবে। সাধারণত নতুন মডেলের এসি তুলনামূলক কম ওয়াটের, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং দাম বেশি হয়ে থাকে।
কক্ষের আকার অনুযায়ী সঠিক টনের এসি কিনলে টাকা ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এ ক্ষেত্রে ১ টন, দেড় টন ও ২ টনের এসি যথাক্রমে ১২০ স্কয়ার ফিট, ১৮০ স্কয়ার ফিট ও ২৪০ স্কয়ার ফিট জায়গার জন্য উপযোগী। মেঝের সমতা ও কক্ষের ভিতর কতগুলো জানালার ওপর নির্ভর করবে। কক্ষের সঠিক জায়গায় এসি স্থাপন করতে হবে। একটি স্পিট এসির কক্ষের বাইরে একটি কমপ্র্রেসর ইউনিট থাকে।
এসি কিনে এনে বাসায় সেট করে শুধু ব্যবহার করলেই চলবে না। বছরে অন্তত দুবার পেশাদার ব্যক্তি দিয়ে এসি সার্ভিসিং এবং ক্লিনিং করানো উচিত। এসি কেনার আগে এ দিকটিও বিবেচনায় রাখা জরুরি।
তীব্র গরমে যত খুশি এসি চালিয়েও যেভাবে সহজেই কমাবেন ইলেকট্রিক বিল
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।