জুমবাংলা ডেস্ক : সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে খাসির মাংসের দাম কেজিতে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সপ্তাহে ১১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া খাসির মাংস এখন কিনতে গেলে খরচ হচ্ছে ১২০০ টাকা। পাশাপাশি, ব্রয়লারের দামেও বাড়তি ওঠানামা লক্ষ্য করা গেছে। কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকায়। মাছের বাজারও চড়া। তবে গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রামপুরা, বনশ্রী এবং মেরাদিয়া বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বর্তমানে ব্রয়লার ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজি দরে।
দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বনশ্রী-মেরাদিয়া বাজারের খাসির মাংস বিক্রেতা তৈয়ব খান জানান, শীতকালে অনুষ্ঠানের চাপ বেশি থাকে, তাই খাসির চাহিদা বেড়ে যায়। তবে, অনুষ্ঠান কমলে মাংসের দামও কমে যাবে।
তবে গরুর মাংস আগের মতোই ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছের বাজারেও বেশ অস্থিরতা রয়েছে। প্রতি কেজি বড় রুই ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট ও মাঝারি রুই ৩০০ টাকা কিছু কম-বেশি, কাতল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়।
ইলিশের বাজারও অস্থির। সপ্তাহের মধ্যে কেজিতে ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে ২২৫০ টাকায়। এছাড়া, দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ৩২০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ২ হাজার টাকা, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১৪০০ টাকা এবং ৩০০-৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যে উঠছে।
বাজারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় মাছ ও মাংসের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন বিক্রেতারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।