বিনোদন ডেস্ক: ময়মনসিংহ গীতিকার বহুল জনপ্রিয় গান ‘সর্বত মঙ্গল রাধে’-এর বেশ কয়েকটি লাইন চুরি করে নিজেদের তৈরি করা ‘যুবতী রাধে’ গানের সঙ্গে যুক্ত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরলপুর ব্যান্ডের কপিরাইট স্বত্ত্ব বাতিল করা হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
মেহের আফরোজ শাওন ও চঞ্চল চৌধুরীর গাওয়া ‘সর্বত মঙ্গল রাঁধে’ গানটি ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়। এরপরেই গানটির কপিরাইট দাবি করে সরলপুর ব্যান্ড। বিতর্কের মুখে শাওন-চঞ্চলের গাওয়া গানটি ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
দেখা যায়, আইনি প্রক্রিয়ায় গানটির কপিরাইট নিজেদের নামে করে নিয়েছে সরলপুর। এই গান ময়মনসিংহ গীতিকার উল্লেখ করে সরলপুরের কপিরাইট বাতিল চায় আইপিডিসি। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) শুনানি শেষে সরলপুরের কপিরাইট বাতিল করে দেয় পাঁচ সদস্যের বোর্ড।
বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস বলছে, অনৈতিকভাবে কপিরাইট নিয়েছিল সরলপুর। গানটির ১২টি লাইন পুরোটাই চুরি করা।
কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী জানান, গানটি আবহমানকাল থেকে চলে আসা লোকগান থেকে কিছুটা রূপান্তর করে, কিছু শব্দ পরিমার্জন করে এ গানটা তারা রচনা করেছে, তবে এটা তাদের মৌলিক গান নয়। এই চৌর্যবৃত্তির অপরাধে ‘যুবতী রাধে’ গানটির স্বত্ত্ব সরলপুর ব্যান্ডের আর থাকছে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
তিনি বলেন, সরলপুর ব্যান্ড কপিরাইট আইনের ৮৮ ও ৮৯ ধারা ভঙ করেছে। নিয়ম অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ও জেলের বিধানও ছিল। কিন্তু এ বিষয়ে যেহেতু কেউ দাবি জানায়নি। তাই আমরা বিধান দিতে পারি না।
জানা যায়, কপিরাইট আইন ভাঙলে সর্বোচ্চ ৪ লাখ টাকা ও সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সর্বোচ্চ ২ বছরের জেল ও সর্বনিম্ন ৬ মাসের জেলের বিধান রয়েছে।
এর আগে ‘যুবতী রাধে’ গানকে ‘সংগৃহিত’ বলে উল্লেখ করে কণ্ঠশিল্পী সুমি মির্জা লেজার ভিশনের ব্যানারে ইউটিউবে প্রকাশ করেছিলেন। তখন কপিরাইট অফিসে দুই পক্ষের শুনানীতে সুমি মির্জা গানটিকে ময়মনসিংহ গীতিকার পালা বলে দাবি করলেও তার সত্যতা না পাওয়ায় সরলপুরকে কপিরাইট সনদ প্রদান করে কপিরাইট অফিস। পরে গানটি নিয়ে সুমি মির্জার সঙ্গে সরলপুর ব্যান্ডের দ্বন্দ্ব আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।