জুমবাংলা ডেস্ক : তাইওয়ানের বিখ্যাত পানীয় ‘বাবল চা’। এর মাত্রাতিরিক্ত পানের ফলে অসুস্থ এক তরুণীর কিডনি থেকে বের হয়েছে ৩০০টি পাথর। পানির বদলে তিনি নাকি কেবল বাবল চা পান করতেন।
হাসপাতালের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সিয়াও ইউ পানি পান করতে পছন্দ করতেন না। পানির পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় বাবল চা পান করতেন। তবে এই অভ্যাস যে স্বাস্থ্যকর নয়, সম্প্রতি এ ঘটনায় এর প্রমাণ মিলল।
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম দ্য স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিয়াও ইউ নামে ২০ বছর বয়সি সেই নারী ৮ ডিসেম্বর জ্বর এবং পিঠের নিচের অংশে তীব্র ব্যথা নিয়ে তাইনান শহরের হাসপাতাল চি মেই মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি হন।
আলট্রাসাউন্ড স্ক্যানের মাধ্যমে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন, তরলের কারণে ফুলে গেছে সিয়াউয়ের ডান কিডনি এবং তাতে পাথরও রয়েছে।
সিটি স্ক্যানে দেখা যায়, পাথরগুলো ছিল প্রায় ৫ মিলিমিটার থেকে ২ সেন্টিমিটার আকারের। সিয়াউয়ের রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যাও ছিল বেশি।
চিকিৎসকেরা এরপর সিয়াউকে অ্যান্টিবায়োটিক দেন। অস্ত্রোপচার চালিয়ে তার কিডনি থেকে তরল এবং ৩০০টিরও বেশি পাথর অপসারণ করা হয়। হাসপাতালের ওয়েবসাইটের এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, অস্ত্রোপচারের পর রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। কয়েক দিন পর্যবেক্ষণের পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অস্ত্রোপচারটিতে নেতৃত্ব দেওয়া ইউরোলজিস্ট ডা. লিম চে-ইয়াং বলেছেন, তাইওয়ানের ৯.৬ শতাংশ মানুষেরই তাদের জীবদ্দশায় কিডনিতে পাথর হতে পারে। পুরুষদের পাথর হওয়ার আশঙ্কা নারীদের তুলনায় তিন গুণ বেশি। যেসব মানুষের কিডনিতে পাথর হয়, তাদের অধিকাংশের বয়স ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।
ডা. লিম আরও বলেন, গরম আবহাওয়ার কারণে বসন্ত ও গ্রীষ্মে কিডনিতে পাথরের ঘটনা বেশি দেখা যায়। তখন মানুষের মাঝে পানিশূন্যতা বেশি দেখা দেয়। তখন প্রস্রাবও হয় ঘন আর খনিজগুলো একত্রিত হয়ে স্ফটিকের মতো পাথর তৈরি করে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে জেনেটিক কারণ, দীর্ঘমেয়াদি রোগ এবং বেশি পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।