জুমবাংলা ডেস্ক : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় বাবার বিয়ে ঠেকাতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীসহ ছয়জন স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছেন। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই বাবাসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের সবুজপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ছয় শিক্ষার্থীর মধ্যে রয়েছেন- জাবির বাংলা বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম, নাট্যতত্ব বিভাগের আরিফ মেহেদী, রিশা আইরিন, হৃদয়ন মাহফুজ, ক্যামেলিয়া শারমিন ও দিপংকর বড়ুয়া।
রাকিবুল হাসান গাজীপুরের মাহবুবুল হকের ছেলে, আরিফ মেহেদী বগুড়ার সান্তাহারের জালাল উদ্দিনের ছেলে, রেদোয়ান মাহফুজ ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার স্বপন মাহফুজের ছেলে, ক্যামেলিয়া চুঁড়া গাজীপুরের আব্দুর রহমানের মেয়ে, ঢাকার মিরপুরের কমল বড়ুয়ার ছেলে দিপংকর বড়ুয়া দিপ্ত এবং তাড়াশের সবুজপাড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদের মেয়ে রিশা আইরিন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সামাদ আজাদের (৭০) স্ত্রী নাজমুন্নাহার (৬০) পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে হাঁটাচলা করতে পারেন না। তাকে আবদুস সামাদই দেখাশোনা করেন। সম্প্রতি তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করবেন-এমন খবর শুনে তার মেয়ে ছাত্রী রিশা আইরিন রবিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন সহপাঠীকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি আসেন। এরপর সন্ধ্যায় বিয়ের বিষয়টি নিয়ে বাবার সঙ্গে মেয়ের বাকবিতণ্ডা হয়।
এক পর্যায়ে রিশার সহপাঠীরা আবদুস সামাদকে লাঞ্চিত করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে সামাদের আত্মীয় স্বজনরা স্থানীয়দের নিয়ে রিশাসহ তার সহপাঠীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করেন। এতে তারা আহত হন। পরে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হামলার ঘটনাটি তাদের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। এরপর বিভিন্ন গ্রুপে তা ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি পুলিশের নজরে আসলে রবিবার রাত ২টার দিকে তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ওসি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ জিম্মায় তাদের ঠিকানায় পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।