জুমবাংলা ডেস্ক : বৈশাখী রানী ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী জজ। বাবার অনুপ্রেরণায় মেধাতালিকায় তিনি অষ্টম স্থান অধিকার করেছেন।
বৈশাখীর বাবা বাগেরহাট জেলা জজ কোর্টের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী (সাঁটলিপিকার)। সবসময় চাইতেন তার সন্তান জজ হোক। বৈশাখী জানান, ছোটবেলা থেকেই বাবা তাকে জজদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শিখিয়েছেন এবং তিনি লক্ষ্য স্থির করেন, একদিন তিনি জজ হবেন।
বৈশাখী তার শিক্ষা জীবনের শুরুতেই মানবিক বিভাগ বেছে নেন। যদিও সায়েন্স বা কমার্সে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ৩১৪তম স্থান অর্জন করার পর আইন পড়ার জন্য তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়েন এবং জবিতে ভর্তি হন। সেখানে এলএলবি ও এলএলএম পরীক্ষায় তিনি দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে বৈশাখী জানান, তিনি মাস্টার্সের পর থেকেই জুডিশিয়ারি নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন এবং টানা এক বছর শুধু পড়ালেখায় মনোনিবেশ করেন।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থেকে প্রতিদিন সময়কে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতেন। তিনি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আগে নিয়মিত ছয় ঘণ্টা ঘুমাতেন, ভোর ৪টায় উঠে রাত ১০টায় ঘুমাতে যেতেন।
বৈশাখী তার মানসিক চাপ এবং মোটিভেশন বজায় রাখার বিষয়ে বলেন, তার বাবা সবসময় তাকে সাহস দিয়েছেন এবং পরিবারের সমর্থন ছিল অপরিসীম। বিশেষ করে, তার বাবা যখন বলেছিলেন, “সেদিন হবে আমার জীবনের সেরা গিফট, যেদিন সবাই বলবে, আপনি তো জজের বাবা,” এই কথা তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
ভবিষ্যতে বিচারক হতে চান এমনদের জন্য বৈশাখী পরামর্শ দিয়ে বলে, “নিজের মতো করে পড়াশোনা করুন, বেশি পড়ার চেয়ে ভালোভাবে পড়ুন। খাতার প্রেজেন্টেশনের দিকে নজর দিন এবং একনিষ্ঠভাবে পড়াশোনা করুন। সৃষ্টিকর্তার নাম নিয়ে এগিয়ে যান, ব্যর্থতাকে শক্তি হিসেবে গ্রহণ করুন, সময় নষ্ট না করে এগিয়ে যান।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।