Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home বাবা-মাকে কথা দিয়েছিলেন মিছিলে যাবেন না, সেই মিছিলে গিয়ে প্রাণ হারান আসিফ
    জাতীয়

    বাবা-মাকে কথা দিয়েছিলেন মিছিলে যাবেন না, সেই মিছিলে গিয়ে প্রাণ হারান আসিফ

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কOctober 20, 2024Updated:October 20, 20245 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : বৃদ্ধ পিতা ও সৎ মাকে কথা দিয়েছিলেন আসিফ, মিছিলে যাবেন না। কিন্তু বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে মাটিতে লুটিয়ে পড়া এক সহকর্মীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেই গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান সাতক্ষীরার মেধাবী ছাত্র আসিফ হাসান(২১)।

    আসিফের শহিদ হওয়ার দুই মাস ১১ দিন পেরিয়ে গেলেও মা হারা সন্তানের অকাল মৃত্যুতে এখনও শোকে স্তব্ধ গোটা পরিবার। ছোট বেলা থেকে কোলে পিঠে মানুষ করা সৎ মা শিরীন সুলতানা এখনও মনে করেন তার সন্তান বেঁচে আছে। সে যে মারা গেছে এটা তিনি কোন ভাবেই যেন মানতে পারছেন না। এখনও বৃদ্ধ পিতা মাহমুদ আলম ও তার সৎ মা পথ চেয়ে বসে থাকেন তাদের সন্তান আবারো ফিরে আসবেন এই আশায়।

    জানা যায়, আসিফের জন্ম সাতক্ষীরা শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে দেবহাটা উপজেলার আস্কারপুর গ্রামে। পিতা মাহমুদ আলম(৬০) এবং সৎ মা শিরীন সুলতানা(৪০)। আসিফের প্রকৃত মা মরিয়ম বেগম মারা গেছেন। মাহমুদ আলমের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট জমজ দুই সন্তান আসিফ হাসান ও রাকিব হাসান। দুই জমজ ভাইয়ের মধ্যে আসিফ বড়ো। তার বড় বোন মাকসুদা আক্তার মুন্নি(৩৮), মেজ বোন মুন নাহার পারভীন(৩২) ও ছোট বোন জেসমিন সুলতানা(২৫)। বোনেরা সবাই বিবাহিতা।

    গত ১১ বছর আগে এক সড়ক দুর্ঘটনায় আসিফের মায়ের মৃত্যু হয়। ছোট বেলা থেকেই সৎ মায়ের সংসারে আদর যত্নে বেড়ে ওঠে আসিফসহ তার ভাই বোনেরা। কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা আহছানিয়া রেসিডেন্সিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন আসিফ হাসান। এরপর ঢাকায় নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অনার্স কোর্সে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়টির উত্তরা ক্যাম্পাসে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত ছিল আসিফ হাসান। সর্বশেষ গত কোরবানির ঈদে আসিফ বাড়িতে এসেছিল। বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা শহর যখন উত্তাল হয়ে ওঠে তখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে আসিফের পরিবার।

       

    গত ১৮ জুলাই বেলা ১২ বাজার এক মিনিট আগে আসিফের সাথে তার মেঝ বোন ঢাকার খিলগাঁও এলাকার বাসিন্দা মুন নাহার পারভীনের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তার বোন তার কাছে শুনতে চায় ভাই তুমি কোথায় আছো ? অনেক গোলাগুলির শব্দ হচ্ছে। আসিফ তখন তার বোনকে বলেন, আপা আমি মিছিলের শেষের দিকে আছি আমার কোন অসুবিধা হবে না। আমি নিরাপদে আছি। ফাঁকা গুলি ছুঁড়ছে আমাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য। বোন মুন নাহার এসময় তাকে বলেন, তুমি মিছিল ও আন্দোলন থেকে পিছন দিক থেকে চলে যাও। আর সেখানে না থাকার জন্য তিনি তার কাছে অনুরোধ করেন।

    এরই মধ্যে আসিফ তার বোনকে জানান, আপা তুমি পরে ফোন করো। আমাদের এক ভাই গুলিবিদ্ধ হয়েছে। সে পানি খেতে চাচ্ছে। তাকে পানি খাওয়াতে হবে। এই বলে আসিফ তার আশেপাশের সহযোদ্ধাদের ডাক দিয়ে গুলিবিদ্ধ বড় ভাইকে পানি খাওয়ানো ও তাকে সেখান থেকে সরানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং তার বোনের সঙ্গে এটাই তার শেষ কথা। এদিকে তার বোন তাকে মোবাইল ফোনে হ্যালো হ্যালো করেই যাচ্ছেন। ১ মিটি ৩৪ সেকেন্ড আসিফ তার বোনের সাথে কথা বলেন বলে তার বোন জানান।

    এরপর তার বোন তাকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। গুলিবিদ্ধ বড় ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে এ সময় তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ আসিফ হাসানকে তার সহযোদ্ধারা পরে কুয়েত বাংলাদেশ সরকারী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে জানানো হয় আসিফ মারা গেছেন।

    অশ্রুসিক্ত নয়নে তার মেজ বোন মুন নাহার আরো জানান, আসিফ মারা যাওয়ার ১২/১৪ দিন আগেও তার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কয়েক দিন ছিলেন। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটিতে চলে যান। তিনি জানান, শাটডাউনের মধ্যে গত ১৭ জুলাই বুধবারও তিনি তাকে বলেছিলেন তার বাসায় যাওয়ার জন্য। আসিফ তার বোনকে বলেন, যানবাহন সব তো বন্ধ তাহলে কিভাবে যাবেন। তার বোন এসময় তার এলাকা থেকে তাকে আনার জন্য পরিচিত কোন বাইক পাঠানোর জন্য তাকে প্রস্তাব দেন। এতে আসিফ সম্মতি দেননি।

    তিনি এ সময় আবেগ জড়িত কন্ঠে বলেন, মহান আল্লাহপাক ওখানে তার মৃত্যু লিখেছেন। এজন্য সে সেখানেই শহিদ হয়েছে।

    শহিদ আসিফ হাসানের সৎ মা শিরীন সুলতানা জানান, অনেক ছোট বেলা থেকেই আমি আসিফ ও রাকিবকে মানুষ করেছি। আমার মনেই হচ্ছে না আমার আসিফ নেই। মনে হচ্ছে আমার আসিফ আবার আমার কাছে আসবে।

    তিনি এসময় অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, আমার আসিফ বড় বড় ভেটকি মাছ, পার্শে মাছ, চিংড়ি মাছ ও গরুর গোশ খেতে ভালোবাসতো। বাড়ি আসলেই তার এসব খাওয়ার আবদার ছিলো। রান্নার পর এসব গরম গরম খাবার খেতে ভালো বাসতো। আমি অনেক সময় তাকে বলতাম বাবা ঠান্ডা হলে খাও। সে আমাকে বলতো মা গরম গরম ভালো লাগে। তিনি মেনেই নিতেই পারছেন না তার আসিফ আর নেই।

    আসিফের ছোট ভাই সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রকিব হাসান জানান, ছোট বেলা থেকেই আমাদের দুই জমজ ভাইয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো। যা করতাম দুই ভাই পরামর্শ করেই করতাম। কোটা আন্দোলন শুরু থেকেই তার সাথে আমার প্রতিদিনই কথা হতো। গত ১৬ জুলাই সে প্রথম আন্দোলনে যায়। এরপর ১৮ জুলাই আন্দোলনে যাওয়ার পর গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ফোন করে আসিফের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়। ওই দিন রাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আসিফের মরদেহ বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরদিন জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চির নিদ্রায় তাকে শায়িত করা হয়।

    তিনি আরো বলেন, আমার ভাইয়ের সাথে আমার সব সময় কোটা বিরোধী আন্দোলন নিয়ে কথা হতো। আমিও কোটা আন্দোলন নিয়ে সাতক্ষীরায় অনেক মিছিল ও সমাবেশ করেছি। আন্দোলন সংগ্রামে আমার ভাই আমাকে সবসময় সাবধানে থাকার জন্য অনুরোধ করতো। মারা যাওয়ার আগের দিনও আমাকে সে বলে আমি একটু ভয়ে ভয়ে আছি, কারণ বিভিন্ন মেসে অভিযান চলছে। কখন যে আমাকে ধরে ফেলে? ভাইয়ের কথা বলতে গিয়ে তিনি এসময় বলেন, কি বলবো ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।

    আসিফের ছোট চাচা মামুন হোসেন জানান, তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো আস্কারপুর গ্রামে। শোকে স্তব্ধ আমাদের গোটা পরিবার। আসিফ আমার শুধু ভাইপো ছিলো না সে আমার বন্ধুর মতো ছিলো। গ্রামের মধ্যে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে আসিফ ও আমি এক সাথে পরামর্শ করে কাজ করতাম। অনেক সামাজিক ছেলে ছিল সে।

    শহিদ আসিফের বাবা মাহমুদ আলম জানান, আমি দুই থেকে তিন দিন পর পর আসিফকে ফোন করে ওর খোঁজ খবর নিতাম। আমি ওকে বাড়িতে চলে আসতে বলেছিলাম। ও বললো আব্বা আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, আমি আন্দোলনে যাচ্ছি না। কিন্তু বন্ধু বান্ধবের পাল্লায় পড়ে পরে কখন যে সে আন্দোলনে গেল তা আমি জানি না। আমি ভাবতেই পারছি না আমার আসিফ নেই। তার বড় ইচ্ছা ছিল ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে সে দেশের বাইরে যাবে। কিন্তু কি যে হয়ে গেলো তা আমি আর বলতে পারছি না।

    বাকরুদ্ধ আসিফের বাবা এসময় বলেন, আমি আমার সন্তান হারানোর এই বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ পাকই হত্যাকারীদের সঠিক বিচার করবেন।

    তারা কারো কাছে তেমন কোন সাহায্য সহযোগিতা পাননি বলেও জানান তিনি।-বাসস

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় আসিফ কথা গিয়ে দিয়েছিলেন? না প্রাণ বাবা-মাকে মিছিলে যাবেন সেই হারান
    Related Posts
    এসইউপি

    এসইউপি ব্যবহার নিষিদ্ধ হলো সচিবালয়ে

    October 4, 2025
    শামিম

    নরসিংদীতে চাঁদাবাজদের হামলায় সড়কেই ঢলে পড়লেন পুলিশ কর্মকর্তা শামিম

    October 4, 2025
    Hajj

    সৌদি আরবে ওমরাহ পালনে নতুন ১০ নিয়মকানুন

    October 4, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Kyren Lacy charges

    Kyren Lacy Charges: New Video Raises Questions About Ex-LSU Star’s Role in Fatal Crash

    বিশ্বরেকর্ড

    টি-টোয়েন্টিতে ডট বলে বিশ্বরেকর্ড মোস্তাফিজের

    kyren lacy cause of death

    Kyren Lacy Cause of Death: New Footage Challenges Crash Allegations Against Former LSU Star

    Trump peace deal

    Trump Demands Israel Ceasefire After Hamas Backs Part of Hostage Deal

    Days of Our Lives Spoilers

    Days of Our Lives Spoilers Reveal a Week of Explosive Confrontations and Emotional Goodbyes

    Conowingo Dam agreement

    Historic $340 Million Conowingo Dam Agreement to Restore Chesapeake Bay

    Redmi-Note-13-Pro

    এ বছরের সেরা ১০টি স্মার্টফোন, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ব্যাকআপের শীর্ষে

    Russian oil

    India Shifts from Russian Oil as US Tariffs Reshape Global Energy Alliances

    এসইউপি

    এসইউপি ব্যবহার নিষিদ্ধ হলো সচিবালয়ে

    Arthur Jones’ Cause of Death

    TMZ Audio Reveals Pacemaker Alert Before Emergency Response — Arthur Jones’ Cause of Death Still Unconfirmed

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.