জুমবাংলা ডেস্ক : দ্বিতীয় ধাপে বগুড়ার শিবগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে দুটি ইউপিতে একই পরিবার থেকে দুজন করে প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোথাও বাবার মুখোমুখি ছেলে, আবার কোথাও মায়ের বিপরীতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ছেলে।
উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে খন্দকার রমজান আলী ও তাঁর ছেলে মাহবুব মোর্শেদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। খন্দকার রমজান আলী ময়দানহাটা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির ইউনিয়ন কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তবে তাঁর ছেলে মাহবুব মোর্শেদ শিবগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে। ভোটের মাঠে বাবা-ছেলের দুজনই চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি ওই এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। এ দুজন ছাড়া ওই ইউপিতে আরো ছয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে মাহবুব মোর্শেদ বলেন, ‘তাঁর বাবা বিএনপি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি নির্বাচন করতে আগ্রহী। কিন্তু ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কোনো রাজনৈতিক কৌশলে যদি তাঁর বাবার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়, তাহলে তিনি নিজেই নির্বাচনে লড়বেন।’
মাহবুব মোর্শেদ নিজেও ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের নেতা। সে ক্ষেত্রে তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে দল কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলন, ‘দল ব্যবস্থা নিতে চাইলে নেবে।’
এদিকে বিহার ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জুলফিকার হাসান শাওন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি এই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত তোফাজ্জল হোসেন চানের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তবে শাওনের সঙ্গে তাঁর মা খালেদা আক্তারও চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। মা-ছেলে দুজনই মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তাঁরা নির্বাচনে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী থাকবেন না বলে জানিয়েছেন জুলফিকার হাসান শাওন।
তিনি বলেন, ‘কৌশলগত কারণে আমার আম্মাকে প্রার্থী করিয়েছি। কোনো কারণে যদি আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়, সে জন্যই মাকে প্রার্থী করেছি। আমার প্রার্থিতা টিকে গেলে মা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন।’
এই ইউপিতে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক মহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া এখানে আরো তিনজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১১জন, জাতীয় পার্টি মনোনীত তিনজন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত দুজন ও তিনজন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৪৯ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন।
উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২৬ অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং পরদিন প্রতীক বরাদ্দ এবং ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।