স্পোর্টস ডেস্ক: আর্থিক বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান সিভিসি’র কাছে ১০ শতাংশ সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রির বিষয়ে লা লিগার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অনুমোদন দিয়েছে স্প্যানিশ পেশাদার ফুটবলের অধিকাংশ ক্লাব। লা লিগার সভাপতি জাভিয়ার তেবাস একথা জানিয়েছেন।
এই চুক্তি সম্পাদনের জন্য দুই শীর্ষ লিগের ৪২টির মধ্যে শীর্ষ দুটি ক্লাবসহ মোট চারটি ক্লাব ছাড়া বকী সবাই এ সবুজ সংক্ষেত দিয়েছে। বিরোধিতা করা ক্লাবগুলো হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, অ্যাথলেটিক বিলবাও এবং নাম প্রকাশে অনাগ্রহী আরেকটি ক্লাব। যদিও চুক্তির কাজ এগিয়ে নিতে লা লিগার জন্য ৪২ ক্লাবের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ সমর্থনই যথেষ্ট।
বিরোধীতাকারী ক্লাবগুলোকে বাইরে রেখেই এই চুক্তি সম্পাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিভিসি। আগামী ৫০ বছর টেলিভিশন সম্প্রচার সত্বের ১০ শতাংশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে বেসরকারি এই আর্থিক সংস্থাটি প্রাথমিক ভাবে ২.৭ বিলিয়ন ইউরো লা লিগায় বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল।
তবে চারটি ক্লাব এতে সম্মত না হওয়ায় তাদের বাইরে রেখে চুক্তি সম্পাদনের বিপরীতে এর পরিমান ২.১ বিলিয়ন ইউরোতে নামিয়ে আনা হয়েছে। তেবাস বলেন, চুক্তির বিষয়ে ভোটাভুটির মাধ্যমে অনুমোদন নেয়ার জন্য ক্লাব বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রস্তাবের পক্ষে লা লিগার যুক্তি হচ্ছে এই চুক্তির ফলে প্রাপ্ত তহবিল দিয়ে ক্লাবগুলো নতুন অবকাঠামো ও প্রকল্প আধুনিকায়নের কাজে ব্যয় করতে পারবে। পাশাপাশি তারা নতুন খেলোয়াড় সংগ্রহের কাজেও অর্থ ব্যয় করতে পারবে।
তবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতাকারী রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার অভিযোগ দ্রুত বর্ধনশীল এই খাতের জন্য ৫০ বছর অনেক বড় সময়। আর এটি স্প্যানিশ খেলার অধিকারকে অবমুল্যায়ন করবে। চুক্তির বাইরে থাকার কারণে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদ ইউরোপীয় সুপার লিগ আয়োজনের পরিকল্পনা ফের অব্যাহত রাখতে পারবে। গত এপ্রিলে সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে ১২ ক্লাবের এই টুর্নামেন্ট পরিকল্পনায় শেষ পর্যন্ত টিকে আছে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস। সেখানে যোগ দেয়া প্রিমিয়ার লিগের ছয়টি ক্লাব বেরিয়ে যাবার পর একে একে বেরিয়ে যায় ইন্টার মিলান, এসি মিলান ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
এদিকে চুক্তির বিরোধীতা কারী ক্লাব চারটিকে তাদের মনোভাব পাল্টানোর জন্য চার বছর সময় দিবে বলে জানিয়েছে সিভিসি। এই সময়ের মধ্যে কোন জরিমানা ছাড়াই এই চুক্তিতে যুক্ত হতে পারবে ক্লাবগুলো। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।