জুমবাংলা ডেস্ক : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজধানীতে একটি বাসে এক তরুণীর সাহসী কর্মকাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি ওই তরুণী ও তার মায়ের পায়ে ধরে ক্ষমা চাইছেন। এরপরে লোকটি বাস থেকে তাড়াহুড়া করে নামার চেষ্টা করলে ওই তরুণী তাকে কলার ধরে মারছিলেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তির টি-শার্ট ছিঁড়ে যায় এবং তিনি বাস থেকে নেমে যেতে সক্ষম হন।
এই ঘটনার ২৭ সেকেন্ডের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। কি ঘটেছিল সেখানে, কেনো ওই তরুণী লোকটিকে মারছিলেন, কেনো লোকটি তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছিলেন- এরকম নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর একটি কলেজের শিক্ষার্থী ওই তরুণী। তার নাম কাজী জেবুননেসা কামাল। গত রোববার সন্ধ্যার পর মৌমিতা পরিবহনের বাসে মায়ের সঙ্গে শনির আখড়া থেকে ফিরছিলেন। বাসে জায়গা না থাকায় মাকে ইঞ্জিনের পাশে বসিয়ে দিয়ে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। একপর্যায়ে পাশের একটি সিট ফাঁকা হওয়ায় তিনি বসে পড়েন। এর একটু পর ওই ছাত্রীর পাশে এক ব্যক্তি বসেন।
ব্যতিক্রমী রায়ে মামলার বাদী-বিবাদী সবাই খুশি
ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে জেবুননেসা জানান, মাথাব্যথার কারণে আমি জানালায় হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে ছিলাম। একপর্যায়ে টের পেলাম লোকটি আমার শরীরে হাত দিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ‘টি-শার্ট ধরে টান দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘তুই গায়ে হাত দিলি কেন?’ এরপর লোকটা বলে উঠলো, ‘আপনি তো ঘুমায় ছিলেন।’ এটা শুনে আমারও মেজাজ গরম হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লোকটি পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে শুরু করে।
বাসের অন্যান্য যাত্রীরা সাহায্য এগিয়ে আসেনি এমন আক্ষেপে জেবুননেসা বলেন, লোকটি যখন নেমে যাচ্ছিল তখনও তাকে ধরতে বাসের কোনো যাত্রীরা এগিয়ে আসেনি। উল্টো অনেকেই বলাবলি করছিল, লোকাল বাসে এরকম ঘটনা ঘটেই, সমস্যা হলে নিজেদের গাড়িতে চলাচল করলেই পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।