বাস্তবেই কি মৎস্যকন্যার অস্তিত্ত্ব আছে?

মৎস্যকন্যা

প্রাচীনকাল থেকেই মৎস্যকন্যাদের নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিল। এ নিয়ে নানা গল্প প্রচলিত রয়েছে। ওই সময় সুন্দরী কন্যা হিসেবে তাদের বিবেচনা করা হতো। বিশ্বাসঘাতক মৎস্যকন্যার চরিত্র নিয়েও অনেক কাহিনী রয়েছে। কল্পনা, গল্প বা উপন্যাস তো বটেই; বাস্তবে এদের অস্তিত্ব খুঁজে বেরিয়েছে মানুষ।

মৎস্যকন্যা
১৮৩০ সালে হ্যান ক্রিশ্চিয়ান মৎস্যকন্যার করুণ জীবন নিয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। এ মৎসকন্যা নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন। এই গল্পের সমাপ্তি ছিল অত্যন্ত সুন্দর। এটি এমন এক গ্রন্থ যেখানে মৎস্যকন্যাদের খুবই ইতিবাচক রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে।

উপকূল থেকে ৮০ বছরের এক জেলে দাবি করেন যে, তিনি ২০ বছরের মৎস্যকন্যাকে দেখেছেন। ওই সময়ে তিনি নিজের চুলের যত্ন নিচ্ছিলেন। তবে মৎস্যকন্যার দিকে বেশিক্ষণ তাকানো যায়নি। কেননা যখনই মৎস্যকন্যা বুঝতে পারেন তাকে কেউ দেখছে তখন তিনি পানির মধ্যে চলে যান।

মৎসকন্যা নিয়ে কিছু চমৎকার সিনেমাও তৈরি হয়েছে। বাস্তবে মৎস্য কন্যা নিয়ে স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। তবে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে মৎস্যকন্যা খুঁজে পাওয়ার বিষয়ে অনেক আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। একটি ছোট ভিডিওতে অদ্ভুত আকারের মৎস্যকন্যা দেখা গিয়েছিল বলে দাবি করা হয়।

এটির মাথা ছিল মাছের মত। বাকি অংশ ছিল মানুষের মতো। তার হাত দুইটি পেছনে বাধা ছিল। ভিডিওতে দেখা যায় প্রাণীটি তখনো জীবিত। এটি কোন ধরনের প্রাণী এবং তার নাম কি তা এখনো কেউ জানতে পারেনি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাণীটি বন্দর কর্তৃপক্ষের হেফাজতে ছিল।

ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনার উল্লেখ অনেক পাওয়া যায়। এ টপিক নিয়ে গল্প, উপন্যাস, সিনেমা অথবা টিভি সিরিজ সবকিছুই রচনা করা হয়েছে। কেউ এর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন, কেউবা করেন না। তবে মৎস্যকন্যা নিয়ে রহস্যের সমাধান আজও হয়নি। তবে সাহিত্য, গল্প বা সিনেমার মাধ্যমে মৎস্যকন্যার অস্তিত্ব এখনো জীবন্ত রূপে আমাদের মাঝে টিকে আছে। এভাবে তাদের মোহনীয় চরিত্র মানুষকে আকৃষ্ট করে রেখেছে।