জুমবাংলা ডেস্ক : দেশের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য জামদানি শাড়ির ৫ দিনের মেলা শুরু হয়েছে। রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এই মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। যা চলবে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) মেলা শুরু হলেও আজ রবিবার সকালে এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
তাঁতশিল্পীদের উত্পাদিত জামদানি শাড়ির প্রদর্শন ও বিক্রয়ে সহায়তা করার লক্ষ্যে ‘জামদানি মেলা-২০২৪’ এর আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘উন্নত বুনন কৌশল, বাহারি নকশা ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে জামদানি অতুলনীয়। তাছাড়া এটি অত্যন্ত আরামদায়ক। একসময় বাংলার মসলিন বিশ্ববিখ্যাত ছিল।
এখন সময় এসেছে মসলিনের বিকল্প হিসেবে জামদানিকে সারাবিশ্বে সমাদৃত করার। বিদেশিদের নিকটও এটি অত্যন্ত পছন্দনীয়। আন্তর্জাতিকভাবে জামদানিকে আরো গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত করতে হলে এ শিল্পে শিশুশ্রম বন্ধ করতে হবে। যেকোনো শিল্পে উত্পাদন খরচ না উঠলে সে শিল্প বিকশিত হতে পারে না। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘জামদানি শাড়িকে আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত করা হবে। সেজন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, আন্তর্জাতিক মানের প্যাকেজিং তৈরি, রপ্তানি বাণিজ্যে প্রণোদনা দেওয়া, বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে শোকেসিং ইত্যাদি।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ বলেন, ‘ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় আরো বেশি সংখ্যক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অন্তর্ভুক্তির জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এই শাড়িকেও এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর।’
সভাপতির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী পণ্য জামদানির প্রধান পৃষ্ঠপোশক হিসেবে বিসিক বহু আগে থেকে কাজ করেছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে ১৯৯৩ সালে বিসিকের তত্ত্বাবধানে ২০ একর জমির ওপর জামদানি শিল্প নগরী গড়ে তোলা হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য জামদানির স্বীকৃতি সনদ ২০১৬ সালে প্রাপ্ত হয় বিসিক।’
তিনি বলেন, ‘এই শিল্পকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব। ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। এখন আমাদের কাজ। এই শিল্পকে রক্ষা করা মানে আমাদের শিল্পীদের (কারিগর) রক্ষা করা।’
আলোচনাসভা শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনী গ্যালারিতে ফিতা কেটে পাঁচ দিনব্যাপী এই মেলা উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানসহ জামদানি উত্পাদনের সঙ্গে জড়িত কারিগর ও উদ্যোক্তারা। দেশের ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য জামদানি শাড়ির ৫ দিনের মেলা শুরু হয়েছে। রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে এই মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। যা চলবে আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।