বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হেয় করার জন্য অসত্য বক্তব্যের ধারাবর্ষণ করে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। কারণ জোর করে ক্ষমতায় থাকার কারণে সরকারি-বেসরকারি প্রচারমাধ্যমের সব আলো গায়ের জোরে ওরা নিজেদের দিকে টেনে রেখেছে। তবে দেশের সচেতন প্রতিটি মানুষ প্রকৃত ইতিহাস জানেন। এসব করে সাবেক জিয়াউর রহমানকে জনগণের মণিকোঠা থেকে সরানো যাবে না।
আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ১৫ আগস্টের সময় বিএনপির জন্মও হয়নি এবং শহীদ জিয়াউর রহমান তখন তো কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বেও ছিলেন না। তাহলে তাঁকে অভিযুক্ত করতে আওয়ামী নেতারা এতো তৎপর কেন? আর এ হত্যাকাণ্ডে তৎকালীন সেনাপ্রধানেরইবা কোনো দায় নেই কেন? কারণ সেই সেনাপ্রধান আওয়ামী লীগেরই এমপি ছিলেন। ইতিহাসই এর প্রমাণ।
তিনি বলেন, যে ব্যক্তিরা সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্লট তৈরি করেছিল, যে ব্যক্তিরা খন্দকার মোশতাকের শপথে অংশ নিতে বঙ্গভবনে গিয়েছিল সেই ব্যক্তিরাই এখন সরকারের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে। পঁচাত্তরে আওয়ামী লীগের লোকেরাই একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে, একজন আরেকজনের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেছে।
রিজভী বলেন, সত্যকে ঢেকে দিয়ে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করতে মিথ্যাচার করছে আওয়ামী লীগ। তাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আলোচনা সভায় বলেছেন, ৭৫ এর ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন জিয়াউর রহমান। আমি বলবো- ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য যদি সত্য হয়, তাহলে ১৫ আগস্টের মর্মস্পর্শী ঘটনার পর আওয়ামী লীগেরই লোকজন সরকার গঠন করলো কীভাবে?
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের জনপ্রিয়তা, যা নানা কুৎসা রটানোর পরেও আজও বিন্দুমাত্র মলিন হয়নি। বাকশালের মৃত্যুকূপ থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্যই শহীদ জিয়ার বিরুদ্ধে তুষের আগুনের মতো জ্বলতে থাকে আওয়ামী নেতাদের প্রতিহিংসা। কারণ আওয়ামী লীগের ইতিহাস রাজনৈতিক হিংসার ইতিহাস। এরা কারও প্রাপ্য সম্মান দিতে জানে না। এরা নির্বোধ আত্মপ্রেমিক।
এদেশের জণগণের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, কারাবন্দিত্বের ৫৬৮তম দিন আজ। অবৈধ মিডনাইট সরকারের প্রতিহিংসার কারাগারে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার ক্রমাগত অবনতি হলেও ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশনেত্রীকে মুক্তি দিচ্ছে না সরকার। এ সরকার মানবতাবোধশূন্য এবং বেআইনি কাজে এতো অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে যে, তারা বেগম খালেদা জিয়ার বিপদজনক অসুস্থতাও ভ্রুক্ষেপ করছে না।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ড. সুকুমার বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামিম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।