জুমবাংলা ডেস্ক: সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হবে আজ । তাই সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের নজর থাকবে আজ আদালতের দিকে।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যসংক্রান্ত মেডিক্যাল প্রতিবেদন তৈরি করে ইতোমধ্যে হাইকোর্টে জমা দিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্ট তার চিকিৎসার জন্য জামিন বিষয়ে আদেশ দিতে পারেন।
বিএসএমএমইউ-এর একটি সূত্র জানায়, রিপোর্টে বেগম খালেদা জিয়া ‘অ্যাডভান্স মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট’ বা উন্নত চিকিৎসায় সম্মত হয়েছেন কিনা—এর জবাবে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেগম জিয়া অ্যাডভান্স মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট নিতে সম্মতি প্রকাশ করেননি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রোগীর সম্মতি ছাড়া অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দেওয়া সম্ভব না। এ পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়েছে কিনা—এ প্রশ্নের উত্তরে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে খালেদা জিয়া যেহেতু সম্মতি প্রদান করেনি, তাই তাকে কোনো অ্যাডভান্স ট্রিটমেন্ট প্রদান করা সম্ভব হয়নি।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। তার ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তার বিভিন্ন প্যারামিটারগুলো রয়েছে। তবে তার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। এটির জন্যই উন্নত চিকিৎসা দরকার। তবে এই মেডিক্যাল প্রতিবেদনের বিস্তারিত আর কিছু জানা যায়নি।
আজ বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির প্রেক্ষাপটে গতকাল রাতে সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মামলার সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করেছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি।
এদিকে বেগম জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে গতকাল নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের তথ্য-উপাত্ত দিয়ে আদালতের সামনে প্রমাণ করতে হবে, উনি (খালেদা জিয়া) জামিন পাওয়ার অধিকারী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।