আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৮৬ বছর পর ফের আয়া সুফিয়া এখন মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে। শুক্রবার ধ্বনিত হয়েছে আজান। টেলিভিশনের পর্দায় বিশ্ববাসী দেখেছে জুমার নামাজের দৃশ্য। কিন্তু কয়েক দিন আগেই আয়া সুফিয়াকে মিউজিয়াম থেকে মসজিদে রূপান্তরিত করার ডিগ্রি জারি হলে একটি আশঙ্কা দেখা দেয় ইন্সটাগ্রাম বিখ্যাত ‘গ্লি’-কে নিয়ে।
সবুজ চোখ, ধুসর লোমাশ, নাদুস-নুদুস চেহারার বিড়াল ‘গ্লি’ বেশ বিখ্যাত। তার বাসস্থান আয়া সুফিয়ায়। কিন্তু তুরস্ক সরকার আদৌ তাকে আয়া সোফিয়া থাকতে দেবে কি না? তানিয়েই তৈরি হয়েছিল আশঙ্কা।
তবে সহৃদয় তুরস্ক সরকার জানে কিভাবে সকলের মন পেতে হয়। তাই গ্লি-বাসস্থান যে আয়া সুফিয়াই থাকবে তা নিয়ে সরকারিভাবে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে।প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছে,‘গ্লি’-এর পাশাপাশি ওই চত্বরের অন্যান্য বিড়াল যেখানে ছিল সেখানেই থাকবে। বিড়ালটি খুব বিখ্যাত হয়ে উঠেছে এবং আরো কিছু আছে যারা এখন বিখ্যাত হয়ে ওঠেনি। বিড়ালটি সেখানে থাকবে এবং সব বিড়ালকেই আমাদের মসজিদে স্বাগত।
পর্যটকরা আয়া সোফিয়াতে ঢুকলেই ‘গ্লি’ তাদের প্রধান আকর্ষণ হয়ে ওঠে। চারপেয়ী গ্লি-এর বাসস্থান হল আয়া সোফিয়াই। পর্যটকদের সঙ্গে গ্লি-এর বহু ছবি সোস্যাল মিডিয়া ঘুরে বেড়ায়।
তবে গ্লি-র বিখ্যাত হওয়ার পিছনেও একটি ঘটনা রয়েছে। ২০০৯ সালে ইস্তান্বুলে আয়া সোফিয়া পরিদর্শন করতে এসে ছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ‘গ্লি’-কে তিনিই প্রথম লক্ষ্য করেন। কয়েকটি ছবিও তুলে ইন্সটাগ্রামে দেন ওবামা। এই ঘটনার পর থেকেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে ‘গ্লি’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।