সমাজ বাস্তবতায় আমরা প্রতিনিয়ত মানুষের ব্যক্তিত্ব পর্যবেক্ষণ করে থাকি। অন্য মানুষেরও আমাদের ব্যক্তিত্ব পর্যবেক্ষণ করে থাকে। মানুষভেদে ব্যক্তিত্বে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। আবার বয়স এবং সময়ের সাথে সাথে মানুষের ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন ঘটে থাকে।
বিগ ফাইভ পার্সোনালিটি থিওরির মাধ্যমে মানুষের বৈশিষ্ট্যকে ব্যাখ্যা করা যায়। ১৯৩০ সালের পর থেকে এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা হয়ে থাকে। বিগ ফাইভ থিওরি নিয়ে আজকে আলোচনা করা হবে।
Openness to Experience
এই বৈশিষ্ট্য দ্বারা বোঝা যায় যে, নতুনত্ব সন্ধান করা এবং সৃজনশীল কাজ কর্মের প্রতি আগ্রহ থাকা। নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। নতুন কিছু শেখার আগ্রহ থাকতে হবে। আশেপাশের সবার সাথে সম্প্রীতি বজায় রাখার মানসিকতা থাকতে হবে।
Conscientiousness
জীবনে সফল হতে হলে বিবেকবান হওয়া জরুরি। পরিবার, সমাজ এবং পেশাদারদের জায়গা থেকে সকল দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের মানুষের মধ্যে আবেগ তেমন একটা কাজ করে না। তারা যুক্তি এবং বাস্তবতাকে কেন্দ্র করে জীবন পরিচালনা করে থাকে।
Extroversion
পরিবার এবং সমাজের সব জায়গায় সবার সাথে কথা বলতে পারা এবং প্রাণবন্ত পরিবেশ বজায় রাখা এই পয়েন্টের মধ্যে পড়ে। যারা ইন্ট্রোভার্ট ঠিক তার বিপরীতে বৈশিষ্ট্যগুলো এখানে বোঝানো হয়েছে। যারা এক্সট্রোভার্ট তারা খুব দ্রুত যেকোনো পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে পারে।
Agreeableness
আমাদের সমাজে এমন মানুষ দেখতে পাবেন যারা মনোমালিন্য এবং ঝগড়া এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে। অন্য কেউ ইতিবাচক মতামত প্রকাশ করলে সে তাতে সম্মতি দেয় এবং সমর্থন দান করে। তারা সহানুভূতিশীল হয়ে বিপদে অন্যের পাশে এগিয়ে আসে।
Neuroticism
আমাদের সমাজে এমন মানুষ রয়েছে যাদের মধ্যে অধিকাংশ সময় নেতিবাচক চিন্তা বেশি কাজ করে। তারা বিষন্নতায় ভোগে এবং তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করে। অনেক সময় মেন্টাল ডিসঅর্ডার থাকতে পারে। সামান্য বিপদ আসলে তারা দুশ্চিন্তুগ্রস্থ হয়ে পড়ে এবং বিরক্তি প্রকাশ করতে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।