লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঘুমের সাথে সুস্বাস্থ্যের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ঘুমের দুই ঘণ্টা আগে থেকে টিভি-স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। এগুলো থেকে যে নীল আলো ছড়ায় তা আপনার মস্তিষ্ককে ঘুমোতে দেয় না। যদি রেডিওতে কিছু শোনেন তাহলে স্লিপ টাইমার ব্যবহার করুন যেন এটা একটা নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ হয়ে যায়।
বিছানায় যাবার আগে শরীর এবং মস্তিস্ক বুঝে যায় যে ঘুমের সময় হয়েছে। এটা যে কোন কিছু হতে পারে। যেমন হালকা গরম পানিতে স্নান, মেডিটেশন বা ধ্যান করা, আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে কথা বলা, ডায়েরি লেখা, বই পড়া, বা আলো কমিয়ে দিয়ে গান শোনা।
বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন, রাত-জাগা লোকদের ‘দেহ-ঘড়ি’কে আগেভাগে ঘুমানোর জন্য তৈরি করা যায়। তবে ঘুমানোর আগে ক্যাফেইন খাওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ ক্যাফেইন শরীরে অন্তত ৯ ঘণ্টা থাকে। কাজেই ভালো করে ঘুমাতে চাইলে দুপুর ১২টার পর থেকেই চা, কফি এবং কোক-পেপসির মতো ‘ফিজি ড্রিংকস’ পান বাদ দিতে হবে।
এছাড়াও অনেকেই খালি পেটে ঘুমাতে পারেন না। তবে ভরপেট খেয়ে বিছানায় গেলেও ঘুমের অসুবিধা হতে পারে। ঘুমের প্রায় তিন-চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেতে হবে। এতে ঘুম না হওয়া বা রাতে জেগে ওঠার সমস্যা কেটে যাবে।
অন্যদিকে, এ্যালকোহল বা মদ্যপান আপনাকে ঘুমিয়ে পড়তে আপাতদৃষ্টিতে সাহায্য করলেও সেই ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বা গভীর হবে না। যাকে বলে ‘র্যাপিড আই মুভমেন্ট’ বা ‘আরইএম স্লিপ।’ অগভীর ঘুমে মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
অপরিণত ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বহু বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিদিন রাতে যদি পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুম হয়, তাহলে হার্ট এ্যাটাক, স্ট্রোক, বা ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নিশ্চিত করুন যেন প্রতি রাতে আপনার সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।