ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ। সংক্ষেপে এই প্রতিষ্ঠানকে সিইআরএন বলা হয়। বিজ্ঞানীরা সুইজারল্যান্ডের CERN এর লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার (LHC) এ একটি অদ্ভুত নতুন কণা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের ধারণা অনুযায়ী এটি গোস্ট পার্টিকল হতে পারে।
কম্প্যাক্ট মুন সোলেনয়েড (সিএমএস) যন্ত্র ব্যবহার করে গবেষকরা দেখতে পেয়েছে যে, এ কণার ভর অনেক বেশি। কার্বন পরমাণুর ভরের দ্বিগুণ তো হবেই। সবথেকে অবাক করার মত তথ্য সম্ভবত এটাই।
তবে বিজ্ঞানীদের কাছে পদার্থবিজ্ঞানের যেসব থিওরি আছে তা দিয়ে এই কণার বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থা আরো কিছু সময় বজায় থাকলে বিজ্ঞানে আলোড়ন সৃষ্টি করার মতো ঘটনা ঘটবে।
আলেকজান্দ্রে নিকিটেনকো। তিনি সিএমএস দলের একজন তাত্ত্বিক যিনি ডেটা নিয়ে কাজ করেছিলেন। দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, “সকল বিজ্ঞানীরা বিষয়টি নিয়ে খুবই আগ্রহী। কিন্তু এই বিশ্লেষক হিসাবে আমারও কিছু আশাবাদ থাকতে হবে।”
দলটি CERN-এ আজ একটি বৈঠকে তাদের ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেছে। এই অনুসন্ধানগুলি সিএমএস ডিটেক্টরে কণাটিকে মিউওন হিসেবে উপস্থাপন করছে যা একটি ভারী ইলেকট্রন । এটি 28GeV ভরের একটি কণার মত আচরণ করছে যা হিগস বোসনের ভর 125 GeV-এর প্রায় এক চতুর্থাংশ।
এই কণাটি বাস্তব কিনা তা খুঁজে বের করতে আরও এক বছর সময় লাগতে পারে, তবে এটা পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ থিওরিকে মিথ্যা প্রমাণ করবে বলে গবেষকরা মনে করেন না। “কিন্তু এটা অদ্ভুত – এমন ভরের ক্ণা খুজে পাওয়া প্রত্যাশিত ছিল না,” তারা বলেছিল।
চলতি বছরের জুলাই মাসে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ৪ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে একটি শক্তিশালী গ্যালাক্সি থেকে নিউট্রিনোর আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিছুটা ভিন্ন আবিষ্কার হলেও সেখানে গোস্ট পার্টিকলের বিষয় ছিলো।
মার্চ মাসে, অদ্ভুতভাবে “স্কাইরিমন” নামে একটি কণার খবর পাওয়া যায়, যা বিদ্যুতের মতো বৈশিষ্ট্যযুক্ত একটি কণা। এবং সেপ্টেম্বরে, CERN-এর ফলাফলগুলি এমন একটি কণার দিকে ইঙ্গিত করেছে যা পদার্থবিজ্ঞানের স্ট্যান্ডার্ড মডেলকে অস্বীকার করে বলে মনে হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।