অর্থনীতি ডেস্ক : অর্থনীতির প্রায় সব সূচকই একরকম নিচের দিকে ছিল ২০১৯ সালে। ফলে প্রত্যাশা অনুযায়ী বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান কিংবা আন্তর্জাতিক বাজারে সাফল্য পাননি ছোট বড় ব্যবসায়ীরা। এছাড়া, ভুগিয়েছে গ্যাসের বাড়তি দাম। অবকাঠামো নিয়েও ছিল দুশ্চিন্তা। যদিও এরই মধ্যে সরকারের সন্তুষ্টি বেড়েছে প্রবৃদ্ধির গাণিতিক হিসাবে। যার ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের প্রত্যাশাটাও আরো বড়।
২০১৯ সালের শুরুতে কর্মক্ষেত্রের আয়তন বাড়াতে স্থান পরিবর্তন করেন চামড়াজাতপণ্যের ব্যবসায়ী রবিউজ্জামান। নতুন জায়গায় কাজের সুযোগও বাড়িয়েছেন কয়েকজনের।
কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ, শুল্ক আর নানা রকম ছাড়পত্রের জটিলতায় পুরো সময়টাই তাকে পোহাতে হয়েছে অপ্রত্যাশিত ঝামেলা। ফলে উৎপাদন এবং বিপণন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বেগ পেতে হয়েছে বছরজুড়ে।
একই সমস্যা কম বেশি ভুগিয়েছে বড় ব্যবসায়ীদেরকেও। নতুন এবং বড় বিনিয়োগে যাননি খুব বেশি। ফলে কাজের সুযোগ আর রপ্তানি বাজারের প্রবৃদ্ধিতে ধরে রাখা যায়নি ইতিবাচক প্রবণতা।
তবে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব ড.এম শামসুল আলম বলেন, অর্থনীতি চমৎকারভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধির হারকে আরও সমন্নুত করাই লক্ষ্য বলে জানান পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড.এম শামসুল আলম।
এদিকে, শিল্পসহ প্রায় সব খাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে অনেকের। সারাবছরই অভিযোগ ছিল অবকাঠামো নিয়েও। যা প্রত্যাশা মেটানোর ক্ষেত্রে তৈরি করেছিল বড় ধরনের বাধা।
২০১৯ সালেই দেশের প্রবৃদ্ধি পৌঁছায় নতুন উচ্চতায়। কিন্তু এর হিসাব নিকাশ জন্ম দেয় বহুমুখী সমালোচনার। ব্যবসার পরিবেশ কিংবা প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় উন্নতি ছিল না খুব বেশি।
তারপরও অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির মতো উদ্যোগে ব্যস্ততা ছিল সরকারের। যা নতুন বছরেও অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা সরকারি মহলের।
নতুন বছর থেকে আরো হচ্ছে আরো একটি নতুন পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। যার মাধ্যমে সরকার ঘোচাতে চায় পেছনের অপ্রাপ্তিগুলো।
খবর : চ্যানেল২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।